ফেরার ম্যাচে চরম লজ্জা পেল অস্ট্রেলিয়া

Looks like you've blocked notifications!
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ। ছবি : সংগৃহীত

১৬৩ রানের ছোট লক্ষ্য। তার ওপর ওপেনিং জুটিতে আসে ৯৮ রান। সব মিলিয়ে জয়ের নাগাল পাওয়া খুব সহজই ছিল অস্ট্রেলিয়ার জন্য। কিন্তু হলো তার উল্টোটা। অবিশ্বাস্যভাবে এমন ম্যাচে হেরে গেল অস্ট্রেলিয়া। দুর্দান্ত বোলিং আর ইয়াং মরগানের বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বে অসিদের উড়িয়ে স্বস্তির জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড।

গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এই জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। ছয় মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে হারের তিক্ততা নিয়ে মাঠ ছাড়ল অসিরা।

সাউদাম্পটনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬২ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। এর মধ্য সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন ডেভিড মালান। ৪৩ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচ বাউন্ডারি ও তিন ছক্কা। ২৯ বলে ৪৪ রান করেন জস বাটলার। ওপেনিং জুটি দারুণ শুরু করলেও বাকিরা ব্যর্থ ছিলেন। ২০-এর ঘরও পার করতে পারেননি বাকিরা।

ছোট লক্ষ্যের জবাবে দারুণ শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। শুরুর জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ দারুণ করেন। দুজন মিলে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। তাতে কোনোভাবেই হারার কথা ছিল না অতিথিদের। কিন্তু দুই ওপেনার ফিরলে বাকিরা মুখ থুবড়ে পড়েন।

১১ ওভারে ৯৮ রানের জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন জফরা আর্চার। ৩২ বলে ৪৬ রান করে আউট হন ফিঞ্চ। ৪৭ বলে ৫৮ রান করে আউট হন ওয়ার্নার। এরপরই খেলার মোড় ঘুরে যায়।

শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। টম কারানের প্রথম বলে রান না পেলেও পরের বল গ্যালারিতে পাঠান মার্কাস স্টয়নিস। এরপর ব্যাটসম্যানদের আর সুযোগ দেননি কারান। তৃতীয় বলেও রান হয়নি। শেষ তিন বলের প্রতিটিতে এসেছে দুই রান করে। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড : ২০ ওভারে ১৬২/৭ (বাটলার ৪৪, বেয়ারস্টো ৮, মালান ৬৬, ব্যান্টন ৮, মরগান ৫, মইন ২, কারান ৬, জর্ডান ১৪*, রশিদ ১*; স্টার্ক ৩-০-৩০-০, অ্যাগার ৪-০-৩২-২, কামিন্স ৩-০-২৪-১, রিচার্ডসন ৩-০-১৩-২, জ্যাম্পা ৪-০-৪৭-০, ম্যাক্সওয়েল ৩-০-১৪-২)।

অস্ট্রেলিয়া : ২০ ওভারে ১৬০/৬ (ওয়ার্নার ৫৮, ফিঞ্চ ৪৬, স্মিথ ১৮, ম্যাক্সওয়েল ১, স্টয়নিস ২৩*, কেয়ারি ১, অ্যাগার ৪, কামিন্স ০*; আর্চার ৪-০-৩৩-২, উড ৪-০-৩১-১, জর্ডান ৩-০-২৩-০, কারান ৪-০-৩৩-০, রশিদ ৪-০-২৯-২, মইন ১-০-৯-০)।

ফল : ইংল্যান্ড ২ রানে জয়ী।

সিরিজ : তিন ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ১-০ তে এগিয়ে।