বন্ধু মেসির জন্য আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করতেন নেইমার
প্যারিসে পাড়ি দেওয়ার আগে বার্সেলোনায় চার বছর পার করেছেন নেইমার। কাতালান ক্লাবটিতেই লিওনেল মেসির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠেছে তাঁর। ওই চার বছরে বার্সার হয়ে অনেক সুখকর স্মৃতির সঙ্গী হয়েছেন দুজন। কাছ থেকে দেখেছেন, মেসির পায়ের জাদু। তাইতো আর্জেন্টাইন তারকার খুব ভক্ত ব্রাজিল সুপারস্টার।
নানা সময়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে প্রশংসায় ভাসান নেইমার। তাঁর সেরা খেলোয়াড়ের তালিকাতেও সবার আগে থাকে সাবেক সতীর্থের নাম। এমনকি কোনো কোনো টুর্নামেন্টে যদি ব্রাজিল না থাকে তখন আর্জেন্টিনার জন্য গলা ফাটান নেইমার। সেটা শুধুমাত্র মেসির জন্যই।
তবে এই সময়ের দুই তারকার বন্ধুত্ব ছাপিয়ে এবার আসছে লড়াইয়ের উত্তাপ। কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হবে মেসি-নেইমারের আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। দুই দলের লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছে ফুটবলপ্রেমীরা। ফাইনাল নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন নেইমার নিজেও। শিরোপা জিততে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে প্রস্তুত তিনি। একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার জন্য তাঁর দুর্বলতাও আছে। কারণ মেসির কারণে এই দলের জন্য গলা ফাটিয়েছেন তিনি।
আগামী ১১ জুলাই রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপার ফাইনালে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। শিরোপা মঞ্চে বন্ধু মেসির দলকে হারানোর স্বপ্ন দেখছেন নেইমার।
গোল ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফাইনাল নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা জানাতে গিয়ে মেসির প্রসঙ্গও আনলেন নেইমার, ‘আমি সবসময় যেমনটা বলেছি, এখন পর্যন্ত আমার দেখা সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড় মেসি। সে একজন দারুণ বন্ধু। তবে এখন আমরা ফাইনালে খেলব, তাই প্রতিদ্বন্দ্বী I আর আমি এই ফাইনাল জিততে চাই। আমি সত্যিই এই শিরোপা জিততে চাই, এটি আমার প্রথম কোপা আমেরিকা হবে। এটা জিততে আমি আমার সবটুকু উজাড় করে দিব।’
এরপর নেইমার জানান, ব্রাজিল টুর্নামেন্টে না থাকলে মেসির জন্য আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করতেন তিনি, ‘মেসি অনেক বছর ধরে জাতীয় দলের হয়ে তার প্রথম শিরোপা জয়ের জন্য লড়াই করছে। ব্রাজিল যদি টুর্নামেন্টে উপস্থিত না থাকলে আমি আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করতাম। তার জন্য সাপোর্ট করতাম। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে তাদের খেলা নিয়ে আমি খুশি হয়েছি। তখন মেসি জার্মানির মুখোমুখি হয়েছিল।’
সবকিছু ছাপিয়ে নেইমারের চোখ এখন মারাকানার ফাইনালে। নেইমারের ভাষায়, ‘এটা এমন এক ফাইনাল, কোপা আমেরিকায় যেটা উপভোগ করতে চায় প্রত্যেক ফুটবলপ্রেমী। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াই, অনেক বছরের একটি ক্লাসিক ম্যাচ হতে যাচ্ছে যেখানে দুটি দলই সেরা হওয়ার জন্য লড়বে।’