বাংলাদেশকে সফরে নেওয়ার উদ্যোগ এসএলসির

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশকে সফরে নেওয়ার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে এসএলসি। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। শর্ত মেনে শ্রীলঙ্কার মাটিতে গিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে চায় না বাংলাদেশ। গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

এরপর থেকেই নড়ে চড়ে বসে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশকে সফরে নেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এসএলসি।

শ্রীলঙ্কার দৈনিক দি আইল্যান্ডের খবরে জানা গেছে, দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী নামাল রাজাপাকসের সঙ্গে এসএলসির সভাপতি শাম্মি সিলভা আলোচনায় বসেছেন। এর পরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে তারা। কোয়ারেন্টিনের সময় সাত দিন করা এবং বাংলাদেশের দলের জন্য ৩৫ জনের স্কোয়াডের অনুমতি চেয়েছে এসএলসির সেই চিঠিতে।

গত সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, ‘কোয়ারেন্টিন বিষয়ে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রস্তাবে আমরা রাজি নই। তাদের শর্ত মেনে সে দেশে গিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা সম্ভব নয়।’

টেস্ট সিরিজটি মূলত জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সেটি পিছিয়ে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে নির্ধারণ করা হয়।

শ্রীলঙ্কান সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, কোভিড-১৯ আক্রান্ত কি না, তা খতিয়ে দেখতে দেশটিতে প্রবেশকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে বিসিবি চেয়েছিল, সফরে গিয়ে সাত দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড তাদের স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে বিসিবির এই প্রস্তাব পাঠালেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশের পরিকল্পনায় ছিল কোয়ারেন্টিন চলাকালীন নিজেদের প্রস্তুতি সেরে নেওয়া। কিন্তু শ্রীলঙ্কার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ দলকে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। জাতীয় দল ও হাইপারফরম্যান্সের (এইচপি) ৬০ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে অফিশিয়ালদের পাঁচতারকা হোটেলে ১৪ দিন রাখা বিসিবির জন্য যথেষ্ট কঠিন।

জাতীয় দল ও এইচপি দল নির্ধারিত সময়ের আগেই শ্রীলঙ্কায় যাবে। সিরিজের আগে প্রথম দিকে দুই দলের যাবতীয় খরচ বিসিবিকেই বহন করতে হবে।

শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশকে কোনো দল দিতে পারছে না। বাংলাদেশ জাতীয় দল ও এইচপি দল নিজেদের মধ্যে দুটি অনুশীলন ম্যাচ খেলার কথা ছিল।