বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফরের সূচি ঘোষণা

Looks like you've blocked notifications!
শেষ ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড সফর করে বাংলাদেশ। সেবার সফর শেষ না করেই দেশে ফিরেছিল টাইগাররা। ছবি : সংগৃহীত

কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশের। গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটকে (এসএলসি) জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হওয়ার পরদিনই বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফরের সূচি চূড়ান্ত হলো। সূচি অনুযায়ী, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার আগামী গ্রীষ্মের ক্রিকেট সূচি প্রকাশ করেছে ক্রিকেট নিউজিল্যান্ড (এনজেডসি)। যেখানে বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফর সূচি জানিয়েছে এনজেডসি।

আগামী বছরের ১৩ মার্চ শুরু হবে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ। পরের দুটি ওয়ানডে হবে ১৭ ও ২০ মার্চ। খেলাগুলো হবে যথাক্রমে ডানেডিন, ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটনে।

ওয়ানডে সিরিজ শেষে ২৩ মার্চ শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের দুই ম্যাচ হবে ২৬ ও ২৮ মার্চ। খেলাগুলো হবে যথাক্রমে নেপিয়ার, অকল্যান্ড ও হ্যামিল্টনে।

২০১৯ সালে বাংলাদেশের সবশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে হামলা হয়। তখন পুরো সফর শেষ না করেই দেশে ফিরেছিলেন তামিম-মুশফিকরা। এক বছর বিরতি দিয়ে মার্চে আবারো কিউই সফর করবে বাংলাদেশ।

আগামী ২৭ নভেম্বর ঘরের মাঠে ক্রিকেট শুরু করবে নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে কিউই সফরে।

এরপর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট খেলতে যাবে পাকিস্তান। ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে অস্ট্রেলিয়া। এরপরেই হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ।

এদিকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনের কঠিন শর্ত মেনে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে না বাংলাদেশ। গতকাল এ ব্যাপারে বিসিবি কার্যালয়ে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ওরা যে গাইডলাইন দিয়েছে, সেসব মেনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা সম্ভব নয়। আমরা আমাদের চাহিদাগুলো ওদের জানিয়েছি। একটা ছাড়া বাকিগুলোতে তারা রাজি আছে। কিন্তু যেটা আসল, সেটাতেই রাজি নয়। সেটা হলো ১৪ দিনের আইসোলেশন। এমন কঠোর আইসোলেশন যে ঘর থেকেই বের হওয়া যাবে না। এটা তো সম্ভব নয়। একজন ক্রিকেটার ১৪ দিন ঘরবন্দি থাকলে তাঁর ফিটনেস যেভাবে নষ্ট হবে, সেটা থেকে বের হতেই তো সময় লাগবে। ওই অবস্থায় খেলা সম্ভব নয়। ওদের এই নিয়ম আমাদের জন্য না শুধু, যেকোনো পর্যটকের জন্য একই নিয়ম। ওরা চেষ্টা করেছে কোয়ারেন্টিন শিথিল করতে, কিন্তু পারেনি। ওরা জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমরাও বলে দিয়েছি, এই শর্ত মেনে খেলা সম্ভব নয়। আমরা ওদের জানিয়ে দিয়েছি পুনরায় সূচি করার জন্য। যখন পরিস্থিতি ভালো হবে, যখন কোনো শর্ত থাকবে না, তখন আমরা যাব।’