'বাংলাদেশের মতো ক্রিকেট পাগল দেশ আমি আর দেখিনি'

Looks like you've blocked notifications!

ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মধ্যে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আইপিএল। গত সাত আসর ধরে আয়োজিত হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টের সবচেয়ে বড় আসরকে আরো প্রাণবন্ত করতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার রোহিত শর্মা। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়কের মতে,  সমর্থকদের মধ্যে আবেগ ও রোমাঞ্চ জাগিয়ে তুলতে পারলেই প্রাণবন্ত হবে বিপিএল।

গতকাল শুক্রবার রাতে তামিম ইকবালের লাইভে আসেন রোহিত। প্রায় এক ঘণ্টার লাইভে নানা বিষয়ের মাঝে উঠে এসেছে দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের কথাও।

আইপিএলে রোহিতের নেতৃত্বে চারবার শিরোপা জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সফলতম অধিনায়কের কাছে তামিম জানতে চান, আলাপচারিতার শেষ দিকে রোহিতের কাছে তামিম জানতে চাইলেন, বিপিএলের খেলা দেখার সুযোগ হয়েছে কিনা।

রোহিত জানালেন, সরাসরি না দেখলেও খেলার হাইলাইটস দেখেন তিন, ‘আমি ইউটিউবে হাইলাইটস দেখেছি। এখানে একটি চ্যানেলে খেলা দেখাত আগে। আমি ঠিক নিশ্চিত নই, এখনো দেখায় কি না। তবে ইউটিউবে দেখেছি বিপিএল ম্যাচের হাইলাইটস।'

এরপর নিজ দেশের টুর্নামেন্ট বিপিএল নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন তামিম, ‘আইপিএলে একটা খুব ভালো ব্যাপার আছে, মূল ক্রিকেটারদের দলে ধরে রাখা হয়। বিপিএলে এটা আমরা দেখতে পাই না। প্রতি দুই-তিন বছরে দল পাল্টাতে বাধ্য হই আমরা।'

এ সম্পর্কে রোহিত বলেন, 'একই দলে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ, এভাবেই তো সমর্থকগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হয়। বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট পাগল। সত্যি বলতে, এতটা ক্রিকেট পাগল দেশ আমি আর দেখিনি। মূল ক্রিকেটারদের নির্দিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ধরে রেখে যদি রোমাঞ্চ সৃষ্টি করা যায় যায়, সমর্থকগোষ্ঠী তাহলে আরও বাড়বে। দেশের মতোই আবেগ নিয়ে সমর্থকেরা তখন ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সমর্থন দিতে মাঠে যাবে।'

আইপিএল সম্পর্কে ভারতীয় ওপেনার বলেন, ‘আইপিএল এই কাজটা খুব ভালোভাবে করতে পেরেছে। মূল ক্রিকেটারদের একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে অনেক বছর রেখে সমর্থকগোষ্ঠী গড়ে তুলেছে। সমর্থকদের অনেকে প্রিয় ক্রিকেটারের জন্য কোনো দলকে সমর্থন করে। এরপর ওই ক্রিকেটার পরের বছর অন্য দলে চলে গেলে তাদের সমর্থন বদলাতে হয়। এটা ঠিক নয়। একটা কথা মনে রাখা উচিত, সমর্থকেরাই খেলাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। আমরা যদি তাদের যথেষ্ট গুরুত্ব না দেই, তারাও আমাদের গুরুত্ব দেবে না।’