বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর পরীক্ষা আজ

Looks like you've blocked notifications!

অনেক শঙ্কার মেঘ সরিয়ে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরুর আগের দিনও বাংলাদেশ অধিনায়ক স্বপ্ন দেখান সিরিজ জয়ের। কিন্তু সেটা আর হলো না; বরং প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশকে উড়িয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।

তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে আজ সোমবার আবারও স্বাগতিকদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। টানা দুই হারের পর এবারের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।

সিরিজের দুই ম্যাচেই বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে ব্যাটিং ব্যর্থতা। তাতে ফলাফলও হার। তাই শেষ ম্যাচটি অন্তত ভালোভাবে শেষ করে দেশে ফিরতে চায় সফরকারীরা। গতকাল রোববার সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানান দলের প্রতিনিধি শফিউল ইসলাম।

দুই ম্যাচেই পাওয়ার হিটিংয়ের খুব অভাববোধ করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারালেও বাংলাদেশের রান ছিল ৩৫। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে কেবল ৬২। দ্বিতীয় ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ তোলে ২ উইকেটে ৩৩। ১০ ওভারে ছিল ৩ উইকেটে ৫৭। কিন্তু এর পর থেকে প্রত্যাশিত ঝড় তুলে ইনিংস বড় করার মতো হিটার ছিল না।

একের পর এক ব্যাটসম্যান দিয়ে হিটিংয়ের কাজটা করাতে চাচ্ছে বাংলাদেশ। যেমনটা দ্বিতীয় ম্যাচে চেষ্টা করানো হয়েছিল তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসানকে দিয়ে। ক্যারিয়ারে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি খেলা এই তরুণকে কাল তিনেই নামিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ, যার নেপথ্যেও আছে সেই পাওয়ার হিটিং। কিন্তু পারলেন না তিনিও।

তা ছাড়া বিপিএলে দারুণ খেলা কোনো ব্যাটসম্যানই জাতীয় দলের হয়ে জ্বলে ওঠেননি। ছন্দে থাকা লিটন দুই ম্যাচে করেছেন ২০ রান, সৌম্য করেছেন ১১ রান আর আফিফ করেছেন ৩০ রান। সেই তুলনায় তামিম মোটামুটি ভালো করেছেন। বল বেশি খেললেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তামিম করেন ৩৪ বলে ৩৯ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৫৩ বলে ৬৫ রান। মূলত ধীরগতির ব্যাটিং নিয়েই প্রশ্নের মুখোমুখি তামিম। সব মিলিয়ে ইনিংস শেষ করার মতো কোনো ক্রিকেটার পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তবু শেষটা ভালোভাবে করার চিন্তা করছে সফরকারীরা।

গতকাল শফিউল বলেন, ‘আমরা পাকিস্তান কেন, যেখানে যাই চিন্তা থাকে ভালো ক্রিকেট খেলার। হয়তো প্রথম দুটি ম্যাচে হয়নি। চেষ্টা থাকবে শেষ ম্যাচটিতে ভালোভাবে করে শেষ করার।’

আগের তুলনায় বাংলাদেশের বর্তমান দল তারুণ্যে ভরা। দলে অভিজ্ঞদের মধ্যে আছেন শুধু তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ। বাকি ১৩ জনের সবাই ততটা অভিজ্ঞ নন। একইভাবে পাকিস্তান দলেও নতুন মুখের ছড়াছড়ি। তারপরও দারুণ ক্রিকেট খেলেছেন স্বাগতিকরা।

নিজেদের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করে শফিউল বলেন, ‘আসলে ভালো করার সামর্থ্য আমাদেরও আছে। তাদের মতো তরুণ দল আমাদেরও। মাহমুদউল্লাহ ভাই আর তামিম ভাই ছাড়া আমাদের পুরো দলটাই তরুণ। আমরা কয়েক দিন আগে বিপিএল খেলে আসছি। তাই আমাদের ভালো খেলা আরো সম্ভব ছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচে কিছু রান আমাদের কম ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে বাবর আজমদের দিন ছিল। আসলে আমি বলব, ওরা ভালো ক্রিকেট খেলছে, তাই ম্যাচের ফলাফল তাদের দিকে গেছে। চেষ্টা থাকবে শেষটা ভালো করার।’

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল : মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন, রুবেল হোসেন ও হাসান মাহমুদ।

পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দল : বাবর আজম (অধিনায়ক), আমাদ বাট, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, আহসান আলি, ইমাদ ওয়াসিম, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), মুসা খান, শাদাব খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও উসমান কাদির।