বাংলাদেশে টেস্টের সংস্কৃতি ছিল না, এখনো নেই : সাকিব

Looks like you've blocked notifications!
সাকিব আল হাসান। ছবি : সংগৃহীত

আরও একবার টেস্ট ক্রিকেটে করুণ চিত্র দেখল বাংলাদেশ। অ্যান্টিগা থেকে শুরু করে সেন্ট লুসিয়া—দুই টেস্টেই বাংলাদেশ দেখল টেস্ট ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ কতটা কঠিন। দুই টেস্টেই পরাজয় মেনে নেওয়ার পাশাপাশি এই সংস্করণে ১০০তম হারের মুখ দেখল বাংলাদেশ।

 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পরাজয়ের পর দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দাবি করলেন, বাংলাদেশে টেস্ট ক্রিকেটের সংস্কৃতি কখনো তৈরি হয়নি, এমনকি এখনো নেই। উল্টো সাকিব প্রশ্ন ছুড়লেন—এ দেশে টেস্ট খেলা দেখে কয়জন?

ক্যারিয়াবীদের কাছে অ্যান্টিগায় সাত উইকেটে হারে বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় টেস্টে হারে ১০ উইকেটে। দুই টেস্টেই বাংলাদেশকে ডুবিয়েছেন ব্যাটাররা। তবুও আলাদা করে ব্যাটারদের দোষ দিতে রাজি নন সাকিব। বরং টেস্টের সংস্কৃতি নিয়েই প্রশ্ন তুললেন টেস্ট অধিনায়ক।

সাকিব বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের(ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে) দোষ দেওয়া যাবে না। আমাদের দেশের সিস্টেমটাই কিন্তু এমন। আপনি কবে দেখেছেন যে ৩০ হাজার দর্শক টেস্ট দেখছে বা ২৫ হাজার দর্শক মাঠে এসে টেস্ট খেলতে দেখছে। ইংল্যান্ডে তো প্রতি ম্যাচে দেখে। আমাদের দেশে টেস্টের সংস্কৃতিটা কখনো ছিল না, এখনও নেই। নেই বলে যে হবে না তাও কিন্তু না। এটা পরিবর্তন করা আমাদের বড় দায়িত্ব।’

সাকিব আরো যোগ করেন, ‘সেটার জন্য সবাই মিলে যদি পরিকল্পনা করে এগোনো যায় তাহলে কিছু সম্ভব হবে। নয়তো এগোনো সম্ভব না। যেটা বললাম, সংস্কৃতি নেই। টেস্ট ক্রিকেটকে যে খুব বেশি আমরা মূল্যায়ন করি, তাও না। হ্যাঁ, এটা বলতে পারেন যে ভালো রেজাল্ট করি না, তাই মূল্যায়নও হয় না। কিন্তু একটার সঙ্গে আরেকটা সম্পর্ক আছে। তাহলে ভালো কিছু করা সম্ভব। তাই নিশ্চিত করতে হবে যেন দেশে আমরা টেস্ট ম্যাচ সবসময় ভালো খেলি, ধারাবাহিকভাবে।’  

টেস্টে উন্নতি করার কথা জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচ জিততে চাইলে সব জায়গায় উন্নতি করতে হবে। আমাদের সামনে ফাঁকা সময় আছে। এই সময়ে যারা টেস্টে আগ্রহী বা খেলতে চায়, তারা যার যার জায়গা থেকে উন্নতির চেষ্টা করবে। উন্নতি ছাড়া আমাদের ভালো কিছু করার রাস্তা নাই। এ ছাড়া সেটআপ খেলোয়াড়ও নাই, যারা এসে ভালো করে ফেলবে। যারা আছি, বাইরের দু-চারজন আছে। সবাই মিলে পরিকল্পনা করে এগোতে পারি তাহলে ভালো করা সম্ভব হবে। আমাদের বেশ কিছু জায়গায় পরিবর্তন আনতে হবে, সে জন্য আমাদের চিন্তাগত পরিবর্তন জরুরি।’