বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচে বৃষ্টির বাগড়া

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ম্যাচ। ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। দিনের প্রথম ঘণ্টা পার হতেই বৃষ্টি নামে সেন্ট লুসিয়াতে। বৃষ্টির কারণে আপাতত ম্যাচটি বন্ধ আছে।

তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের একমাত্র লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্রুত থামানো। সেই লক্ষ্যে মাঠে নেমে দিনের শুরুতেই জোড়া সাফল্য পায় বাংলাদেশ। এর পরেই বৃষ্টি হওয়ায় আপাতত দুদলই আছে ড্রেসিং রুমে।  

আজ রোববার ডি সিলভাকে এলবির ফাঁদে ফেলে আগের দিনের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৯ রানে ফিরে যান সিলভা। এরপর আলজারি জোসেফকে বিদায় করেন খালেদ আহমেদ।

গতকাল শনিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনও নিজেদের করে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল মায়ার্সের সেঞ্চুরিতে ম্যাচের লাগাম এখন ক্যারিবীয়দের হাতে। এখান থেকে বের হতে হলে আজ রোববার টেস্টের তৃতীয় দিন কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। সেই পরীক্ষায় ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছে সাকিব আল হাসানের দল।

টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে পাঁচ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ৩৪০ রান। মোট ১০৬ রানের লিড নিয়ে আজ টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করেছে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দল।

আজ ম্যাচে ফিরতে হলে যে করেই হোক ক্যারিবীয়দের দ্রুত থামাতে হবে। নয়তো লিড আরও বাড়িয়ে নিয়ে বাংলাদেশের চাপ বাড়াবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই তাঁদের আটকানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই বাংলাদেশের। না হলে অ্যান্টিগার মতো সেন্ট লুসিয়াতেও হতাশা সঙ্গী হবে সাকিব-তামিমদের।

বাংলাদেশের ইনিংস থেকে মাত্র ১৬৭ রান দূরে থেকে গতকাল শনিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুরু করে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দল। দিনের শুরুতে জন ক্যাম্ববেলের সঙ্গে বড় ইনিংস খেলার আভাস দেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। তবে সেই চেষ্টা সফল হতে দেননি শরিফুল ইসলাম।

ক্যাম্ববেলকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম জুটি ভাঙেন শরিফুল। ২৬তম ওভারে শরিফুলে বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ক্যাম্ববেল। ৭৯ বলে ৪৫ করে ফেরেন ক্যাম্ববেল।

এরপর ব্র্যাথওয়েটকে আটকে দেন মিরাজ। বাংলাদেশি অফ স্পিনারের দুর্দান্ত বলে লাইন পুরোপুরি ভুল করে বোল্ড হন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। ৫১ রানে ফেরেন তিনি।

এরপর জোড়া আঘাতে ক্যারিবীয়দের নাড়িয়ে দেন খালেদ। পরপর ফিরিয়ে দেন রেইফার ও বোনারকে। পুরো দিনে এই সেশনটিই ছিল বাংলাদেশের। এই সেশনে চার উইকেট হারিয়ে ২৬ ওভারে ৭০ রান তুলতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখনও বাংলাদেশ থেকে ৯৭ রান দূরে ছিল তারা। তাতে অনেকটা আশা জেগেছিল বাংলাদেশ শিবিরে।

কিন্তু পরের দুই সেশনে সেই আশা যে হতাশায় রূপ নেবে সেটা কে জানতো। দ্বিতীয় সেশনেই ব্ল্যাকউডকে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাল ধরেন মায়ার্স। ৪০ রানে ব্ল্যাকউডকে মিরাজ থামাতে পারলেও মায়ার্সকে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ।