বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!

আইসিসি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই মধ্যে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য আইসিসির কাছে আবেদনও করেছে বিসিবি। বিশ্বকাপের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এককভাবে আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় বিসিবি। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য যৌথ আয়োজক হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে আবেদন করেছে বিসিবি।

এ ব্যাপারে নাজমুল হাসান বলেন, ‘এককভাবে (চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক হতে) আবেদন করেছি। কারণ এই আসর করার জন্য যে কয়টা স্টেডিয়াম দরকার সেটা আমাদের আছে। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে আবেদন করেছি। ওই বিশ্বকাপের জন্য যে কয়টি স্টেডিয়াম দরকার সেটা আমাদের নেই, দুটি দেশ মিলে করা যায়। আর ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য আমরা তিন দেশ—বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান মিলে আবেদন করেছি।'

আইসিসি ২০২৪ থেকে ২০৩১ সালের ৮ বছরের চক্রে পুরুষদের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট চূড়ান্ত করেছে। এ সময়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে দুটি। সেগুলো হলো ২০২৭ ও ২০৩১ সালে। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে চারটি। সেগুলো হলো— ২০২৪, ২০২৬, ২০২৮ ও ২০৩০ সালে। এছাড়া মোট ৮ দল নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও আয়োজন করা হবে ২০২৫ ও ২০২৯ সালে। এই আসরগুলোতে যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চায় বিসিবি।

এদিকে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য এরই মধ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি পেয়েছে বিসিবি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য সব ধরণের সাপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি বা নিশ্চয়তার দরকার ছিল। আমরা আনন্দের সঙ্গে শেয়ার করছি যে আমরা এই সংক্রান্ত অনুমতি নেওয়ার যে পত্র দরকার হয় সেটার প্রথম পত্রটাই পেয়েছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে, উনার নিজের সই করা যে, এখানে যদি কোনো টুর্নামেন্ট হয় তো সব দায়িত্ব নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।'

এর আগে ভারত-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ ৮টি ম্যাচ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ম্যাচ হয়েছিল ৩৫টি।