বিসিবির বার্ষিক সভায় ৩০ এজেন্ডা
নতুন বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রথম বোর্ড সভা হবে আগামীকাল রোববার। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি, পাকিস্তান সফর, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ম্যাচের আয়োজনসহ প্রায় ৩০টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হবে এবারের বোর্ড সভায়।
বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর ঝুলে আছে। পাকিস্তান চায় টেস্ট খেলতে, বাংলাদেশ চায় টি-টোয়েন্টি। সব মিলয়ে এই সফর হচ্ছে কি না, তা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। এর মধ্যে শোনা যাচ্ছে, সফরে একটি টেস্ট ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য রাজি বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত যাওয়া হবে কি না, এই সিদ্ধান্ত আসবে বিসিবির সভায়।
তবে সফরের চেয়ে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাকেই বিশেষভাবে দেখছে বিসিবি। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, সবদিক বিবেচনা করেই পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, ‘প্রায় ৩০টি এজেন্ডা নিয়ে আগাসীকাল বিসিবির বোর্ড সভা হবে। পাকিস্তান সিরিজ নিয়েও আলোচনা করব। আমাদের এখান থেকে একটি টেস্ট ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলার প্রস্তাব গেছে। আবার পিসিবি থেকে নানা রকম প্রস্তাব আসছে। আমাদের চিন্তা হচ্ছে, আমরা যত কম সময় খেলে সেখান থেকে আসতে পারি। আমরা শুরুতে চেয়েছিলাম ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলে পরে গিয়ে টেস্ট খেলতে। তারা রাজি হচ্ছে না। আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। কালকের বোর্ড সভায় সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
শেষ পর্যন্ত সফর হচ্ছে কি না, এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নয় বিসিবি। জালাল ইউনুস বলেন, ‘সফর নিয়ে এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে পারছি না। তবে অবশ্যই আমাদের প্রধান বিষয় হচ্ছে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা। আমরা সব কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
এদিকে পাকিস্তান সফর ছাড়া আলোচনায় থাকছে কেন্দ্রীয় চুক্তির বিষয়। মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় চুক্তির বিষয়টি কাল আলাপ হবে। ডিসেম্বরে সবার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আমরা দেখিনি নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় কারা আছে। ২০২০ সালে আমাদের এফটিপি প্রোগ্রাম আছে। আমরা বিভিন্ন দেশে যাব, আবার অস্ট্রেলিয়া আসবে। জিম্বাবুয়ে আসবে ফেব্রুয়ারিতে। শ্রীলঙ্কা এবং আয়ারল্যান্ড সফর আছে। এগুলো নিয়ে আলাপ হবে বোর্ড সভায়।’
বোর্ড সভার গুরত্বপূর্ণ আরেকটি এজেন্ডা হলো শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কার্যক্রম। স্টেডিয়াম প্রস্তুতের জন্য এখন পর্যন্ত আগ্রহ দেখিয়েছে প্রায় ২৫টি কোম্পানি। জালাল ইউনুস বলেন, ‘এই সভায় শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিষয় নিয়েও কথা বলব। স্টেডিয়াম নির্মাণে অনেক কিছুর সিদ্ধান্ত আসবে। নির্মাণের জন্য এখন পর্যন্ত ২৫টি কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে।’
মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘মার্চে আমরা বিশ্ব একাদশ এবং এশিয়া একাদশের ম্যাচ আয়োজন করব। সেটা নিয়েও বৈঠক করব। ম্যাচগুলো ১৮ থেকে ২২ মার্চের মধ্যেই হবে। তবে চূড়ান্ত দিনক্ষণ এবং ক্রিকেটারদের নামগুলো ঠিক করব কাল। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সময় লাগবে।’
এ ছাড়া শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট চলে যাওয়ায় বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচের জায়গা ফাঁকা। শোনা যাচ্ছে, বিসিবির আলোচনায় আছেন ওটিস গিবসন। বিপিএলে কুমিল্লাকে কোচিং করানো গিবসন টাইগারদের কোচ হতে আগ্রহী। এ বিষয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘পেস বোলিং কোচ নিয়োগ আমাদের এজেন্ডার মধ্যে নেই তবে কাল আলোচনা হবে। গিবসন আমাদের আলোচনায় আছেন, আমাদের হাতে আরো কিছু অপশন আছে। আমরা এখনো কিছু সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে কাল অনেক কিছুরই সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’