‘বেতন বাড়ায় টেস্টের প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়বে’
তিন বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ম্যাচ ফি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সে ক্ষেত্রে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির চেয়ে টেস্টকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বিসিবি। টেস্ট ম্যাচের ফি প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে বোর্ড। এখন থেকে প্রতিটি টেস্ট ম্যাচের জন্য ছয় লাখ টাকা করে ম্যাচ ফি পাবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে প্রতি ম্যাচের জন্য দুই লাখ টাকা করে পাবেন ক্রিকেটাররা। প্রতি ওয়ানডের জন্য পাবেন তিন লাখ টাকা।
কয়েকদিন আগেই বিসিবির নেওয়া এই সিদ্ধান্তকে এরই মধ্যে স্বাগত জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মাহমুদউল্লাহ। বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন মুশফিকুর রহিমও। এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের মতে, ম্যাচ ফি বাড়ায় টেস্ট নিয়ে বাংলাদেশের তরুণদের মানসিকতা পাল্টাবে ও টেস্ট খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
এ প্রসঙ্গে মুশফিক বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটি অবশ্যই ভালো ইঙ্গিত। শুধু সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবেই নয়, বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটার হিসেবেও বলতে হবে, এটি অনেক বড় একটি পদক্ষেপ। আমাদের ক্রিকেটকে এটি ঊর্ধ্বমুখি করবে। তরুণ ক্রিকেটাররা যখন দেখবে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট জাঁকজমকপূর্ণ হলেও, টেস্টে খেলে ভালো পারিশ্রমিক পাওয়া যায়, সেইসঙ্গে মর্যাদার দিক থেকেও টেস্ট বাকি ফরম্যাটের চেয়ে ওপরে, তখন তাদের ইচ্ছা বেশি জাগবে (টেস্ট খেলার)।’
এ ছাড়া টেস্ট নিয়ে মানসিকতাও এখন বদলাবে বলে মনে করেন মুশফিক, ‘তারা (তরুণ ক্রিকেটাররা) ভাববে যে বাংলাদেশের পক্ষে ১০০টি টেস্ট খেলব বা ১০ হাজার রান করব কিংবা ৩০০ টেস্ট উইকেট নেব। এই আকাঙ্ক্ষাগুলো অনেকটাই কমে যাচ্ছিল। এদিক থেকে হলেও মানসিকতা বদলাবে।’
এর আগে বিসিবির বেতন বাড়ানো সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত। তিন ফরম্যাটে যারা খেলবে, তাদের জন্য এটা খুব ভালো উদ্যোগ ক্রিকেট বোর্ডের। কারণ যারা তিন ফরম্যাটের জন্য থাকবে, তাদের জন্য তো অবশ্যই, যারা একটি বা দুই ফরম্যাট খেলে তাদের বেতনও বেশি হওয়া উচিত। এমনকি যারা টেস্ট ক্রিকেটকে বেশি প্রাধান্য দেয়, তাদের বেতন বেশি করা উচিত। তাহলে আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের চিত্রটি পরিবর্তন হতে পারে। আমি মনে করি এ ক্ষেত্রে বিসিবি অনেক সুন্দর একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ অনেকেই এখন টেস্ট খেলতে চায় না। এখন বেতনের মধ্যে থাকলে সেই স্পিরিটটা আসবে যে, ‘আমি যদি টেস্ট খেলি, তাহলে বোর্ড থেকে আরো বেতন পাব’। আমি মনে করি বোর্ডের এই সিদ্ধান্তটি অনেক ভালো হয়েছে।’
মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি এটা খুবই ইতিবাচক ব্যাপার। আমাদের বোর্ডকে ধন্যবাদ এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার মনে হয় এতে অবশ্যই টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি সবারই আগ্রহ হয়তো বাড়বে। আমি বলছি না যে আগ্রহ আগে ছিল না। কিন্তু দিন শেষে এটা আমাদের রুজি-রুটি, আমাদের পারিশ্রমিক এখান থেকে পাই। আমার মনে হয় ছেলেরা এখন থেকে আরো উৎসাহ পাবে। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’