ব্যালন ডি’অর নিজেকে দিতেন লেভানদোভস্কি
এক মৌসুমে যতগুলো শিরোপা জেতা যায়, সবই জিতেছেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে জিতেছেন ট্রেবল শিরোপা। প্রতিটিতেই সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। সব মিলিয়ে এবারের ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবিদার ছিলেন এই পোলিশ তারকা। কিন্তু করোনা মহামারির মধ্যে এবার পুরস্কারটি দিচ্ছে না ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী।
এর জন্য আফসোস নেই লেভানদোভস্কির। তাঁর মতে, ব্যালন ডিঅর হলে সেটা তিনিই পেতেন। তাই কোনো সংকোচ না রেখে জানালেন, এবারের ব্যালন ডি’অর নিজেকেই দিতেন এই বায়ার্ন স্ট্রাইকার।
২০১৯-২০ মৌসুমে বুন্দেসলিগা, জার্মান কাপ ও ইউরোপসেরা প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ। প্রতিটিতেই বড় ভূমিকা রেখেছেন লেভানদোভস্কি। একই সঙ্গে মৌসুমের সর্বাধিক গোলদাতা তিনি। জার্মান ক্লাবটির হয়ে ৪৭ ম্যাচে করেছেন ৫৫ গোল। তাঁর ধারে কাছেও নেই এ সময়ের অন্যতম তিন ফুটবলার মেসি, রোনালদো কিংবা নেইমার। তাই ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে নিজেকেই এগিয়ে রাখছেন এই পোলিশ তারকা।
পোলন্ডের একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেভানদোভস্কিকে ব্যালন ডি’অর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দেন, ‘নিজেকেই দেব।’
এরপর বলেন, ‘এক মৌসুমে যা জেতা যায়, তার সবই আমরা জিতেছি। সব প্রতিযোগিতারই সর্বাধিক গোলদাতা আমি। আমি মনে করি একজন খেলোয়াড় এত কিছু অর্জন করার পর তার ব্যালন ডি’অর জেতা উচিত।’
এরপর চ্যাম্পিয়নস লিগে দলের সাফল্য নিয়েও কথা বলেছেন লেভানদোভস্কি, ‘কৌতিনহো ও ইভান পেরিসিচ যদি ৮০ মিনিটে বদলি হিসেবে নামে তাহলে আমাদের প্রতিপক্ষদের টের পাওয়ার কথা কী হচ্ছে মাঠে। তারা বুঝতে পেরেছে আমরা চাপ দেওয়া থামাব না। আর এটা প্রতিপক্ষকে অসহায় বানিয়ে দেয়।’
বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে হারানোর ম্যাচ নিয়ে বলেন, ‘ম্যাচের আগেই আমরা জানতাম বার্সাকে হারাব। কেউ কেউ তো বলছিল ৫-১ গোলেও জিততে পারি আমরা। কিন্তু ৮-২ গোলের জয়টা বিশেষ কিছুই। আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। বার্সার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সার্জ নাব্রি ও জশুয়া কিমিচ আমার সঙ্গে কথা বলতে এসেছিল। ওরা কিন্তু আমাকে জিজ্ঞেস করেনি আমরা বার্সার বিপক্ষে ম্যাচটি জিতব কি না। ওরা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতব কি না। এর উত্তরে আমি বলেছিলাম, অবশ্যই জিতব।’