ভারতের কিংবদন্তি ফুটবলার পিকে আর নেই

Looks like you've blocked notifications!

ভারতীয় ক্রীড়াজগতে এক নক্ষত্রের পতন হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে মারা গেছেন কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ প্রদীপ কুমার ব্যানার্জি। ভারতের ফুটবলে যাকে পিকে নামেই চেনেন সবাই। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর জীবনযুদ্ধ থেমে গেছে ৮৩ বছরের পিকের। জটিল কিছু সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি নিউমোনিয়ার সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। পিকের মৃত্যুতে শোকেস্তব্ধ ভারতের ক্রীড়াঙ্গন। তাই বলাই যায় ভারতীয় ফুটবলে যুগাবসান।

১৯৩৬ সালের ২৩ জুন পিকের জন্ম হয় জলপাইগুড়িতে। পড়াশোনা করেন প্রথমে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল, পরে জামশেদপুরের একটি স্কুলে। কিশোর বয়সেই বিস্ময়কর ফুটবল প্রতিভা দিয়ে মুগ্ধ করেন সবাইকে। ১৯৫৪ সালে পরিবারের সঙ্গে চলে যান কলকাতায়। রেলওয়েতে চাকরি পাওয়ার পর খেলতে শুরু করেন ইস্টার্ন রেলওয়ের হয়ে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে, ১৯৫৫ সালে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় পিকের। ইস্টার্ন রেলওয়ের হয়েই সব সময়ে খেলেছেন তিনি।

ভারতের হয়ে টানা দশ বছর স্ট্রাইকার হিসেবে দাপটে খেলেছেন পিকে। তিনটি এশিয়ান গেমসে দেশের হয়ে খেলেছেন। ১৯৫৮, টোকিও, ১৯৬২ জাকার্তা ও ১৯৬৬ সালে ব্যাংককে দলের হয়ে খেলেন।

কোচ হিসেবে তাঁর ক্ষুরধার ফুটবল-মস্তিষ্ক অসংখ্য ট্রফি জিতেছেন। ১৯৭২ সালে তাঁর কোচিংয়ে একটিও গোল না খেয়ে কলকাতা লিগ জেতে ইস্টবেঙ্গল।

জাতীয় দলের কোচিংয়ের সঙ্গেও দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন পিকে। দেশের ফুটবল কোচের দায়িত্ব প্রথম পান ১৯৭২ সালে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্বে। চারটি এশিয়াডে ভারতের কোচ ছিলেন।

টাটা ফুটবল একাডেমির টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯১ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত।