ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে আগলে রাখতেন বাদল রায়

Looks like you've blocked notifications!
মেয়ের সঙ্গে সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায়। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক তারকা ফুটবলার ও বাফুফের সাবেক সহসভাপতি বাদল রায় আর নেই। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন বাদল রায়। খেলার মাঠে যেমন ছিলেন উজ্জ্বল, তেমনি নিবেদিতপ্রাণ সংগঠকও ছিলেন।  

খেলোয়াড় থেকে কোচ, সংবাদকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ফুটবলপ্রেমী মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতেন তিনি।

১৯৫৭ সালের ৪ জুলাই কুমিল্লার দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন বাদল রায়। সত্তরের দশকে কুমিল্লার দ্বিতীয় বিভাগ লিগে অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে বাদল রায় যোগ দেন ঢাকা মোহামেডানে। অভিষেক ম্যাচেই তিনি গোল করেছিলেন। জাতীয় দলের পথচলা শুরু ১৯৮০ সালে। ১৯৮১ ও ১৯৮৬ সালে মোহামেডানের অধিনায়ক ছিলেন।

মোহামেডানে ১২ বছর খেলে ছয়বার লিগ শিরোপা জেতান দলকে। ১৯৮৬ সালে লিগের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে তাঁর গোলেই আবাহনীকে হারানোর সুখস্মৃতি মোহামেডান দর্শকের কাছে আজও অমলিন।

১৯৮২ সালের এশিয়ান গেমসে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে একমাত্র গোলটি তিনি করেছিলেন এবং সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ২-১ গোলে হারিয়েছিল মালয়েশিয়াকে। সেই জয়টি ছিল এশিয়ান গেমসে ফুটবলে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য। তিনি একমাত্র ফুটবলার, যিনি এক ক্লাবেই খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করেন।

অবসরের পরও বাদল রায় জড়িয়ে ছিলেন ফুটবলের সঙ্গে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি ছিলেন টানা ১২ বছর। এর আগে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) উপমহাসচিব এবং মোহামেডানের ম্যানেজার হিসেবে।

রাজনীতির মাঠেও বিচরণ করেছেন তিনি। ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছিলেন। যদিও তখন হেরে গিয়েছিলেন।