ভোটের আগের রাতে নির্বাচনের ঘোষণা, পেলেন ৪০ ভোট
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনের আগের রাতে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বাদল রায়। নিজেকে সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। রাজধানীর এক হোটেলে অনুষ্ঠিত ভোটকেন্দ্রেও যাননি তিনি। অথচ এক রাতের ঘোষণায় তিনি পেয়েছেন ৪০ ভোট।
কাজী সালাউদ্দিনের বিপক্ষে জিততে না পারলেও বাদল রায় জানান দিয়েছেন, তিনি মোটেও দুর্বল প্রতিপক্ষ ছিলেন না। পুরো সময় মাঠে থাকতে পারলে হয়তো ভালো কিছু হতেও পারত।
আজ শনিবার হয়েছে বাফুফে নির্বাচন। নির্বাচনে ১৩৫টি ভোটের মধ্যে ৯৪ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। নির্বাচনে বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন মাত্র এক ভোট, আর বাদল রায় পেয়েছেন ৪০ ভোট।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে এবারো জয় পেয়েছেন সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তিনি পেয়েছেন পেয়েছেন ৯১টি ভোট। তাঁর প্রতিপক্ষ সমন্বয় পরিষদের শেখ মোহাম্মদ আসলাম পেয়েছেন ৪৪ ভোট।
দেশের ফুটবল নেতৃত্ব পরিবর্তনের ডাক দিয়ে নির্বাচনে নাম লেখান মানিক। কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে সালাউদ্দিনের সঙ্গে পেরে উঠলেন না সাবেক এই ফুটবলার। বাদল রায় ও মানিককে বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফের বাফুফের নেতৃত্ব পেলেন সালাউদ্দিন।
বাংলাদেশ ফুটবলের বড় নাম কাজী সালাউদ্দিন। দেশ ও ক্লাব জার্সিতে মাঠ মাতানোর পর কোচ হিসেবে দেশকে সাফল্য এনে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে মাঠের তারকা হয়ে ওঠেন বাফুফের অভিভাবক। ২০০৮ সালে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমিন আহমেদ চৌধুরীকে হারিয়ে প্রথমবার বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি এই তারকা ফুটবলারকে। ২০১২ সালের বাফুফের নির্বাচনে সাবেক ফুটবলার জাকারিয়া পিন্টু প্রার্থী হয়েও সরে যান। সেবার শেষ দিকে সভাপতি প্রার্থী হয়ে সরে যান আবদুর রহিমও। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছিলেন সালাউদ্দিন। সর্বশেষ ২০১৬ সালে কামরুল আশরাফ খানকে হারিয়ে তৃতীয় মেয়াদে বাফুফের চেয়ারে বসেন সালাউদ্দিন। এবার আরেক দফায় মানিক-বাদল রায়কে হারিয়ে দেশের ফুটবলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেলেন সাবেক এই কিংবদন্তি ফুটবলার।
অবশ্য বাফুফে সভাপতি পদে লড়াইয়ের জন্য আগেই মনোনায়নপত্র কিনেছিলেন বাদল রায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তিনি। গত ১২ সেপ্টেম্বর স্ত্রী মাধুরী রায়কে দিয়ে নির্বাচন কমিশনার বরাবর প্রত্যাহারপত্র পাঠিয়েছিলেন সাবেক এই তারকা। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর বাদল রায়ের প্রত্যাহারপত্র আসার কারণে সেটা গ্রহণযোগ্য মনে করেনি নির্বাচন কমিশন। নিয়ম অনুসারে তাই ব্যালট পেপারে নাম এসেছে বাদল রায়ের। এরপর তিনি নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণাও দেন। কিন্তু আবার সিদ্ধান্ত পাল্টে ভোটের মঞ্চে আসেন।