মাঝারি সংগ্রহ গড়েছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম

Looks like you've blocked notifications!
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বরিশাল ও চট্টগ্রামের লড়াই। ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আজ সোমবার লড়াইয়ে নেমেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ও ফরচুন বরিশাল। এই ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাঝারি সংগ্রহ গড়েছে চট্টগ্রাম। নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান করে তারা।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে লিটন দাস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। আর মোসাদ্দেক হোসন সৈকত ২৮ ও শামসুর রহমান শুভ ২৬ রান করেন। এর আগে সৌম্য সরকার (৫) ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন (১৭) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন।

আবু জায়েদ রাহি চার ওভারে ৪২ দিয়ে দুই উইকেট নেন। আর একটি করে উইকেট নেন সুমন খান, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান। 

আসরে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম। আর দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেতে মাঠে নেমেছে তামিম ইকবালের বরিশাল।

টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে চট্টগ্রাম। বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে দুই ম্যাচেই নয় উইকেটে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম। নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের বেক্সিমকো ঢাকাকে ১৬.২ ওভারে ৮৮ রানে অলআউট করে দেন চট্টগ্রামের বোলাররা। শরিফুল, মুস্তাফিজ, মোসাদ্দেক ও তাইজুল দুটি করে উইকেট নেন। ৮৯ রান তাড়া করে জিততে মোটেও বেগ পেতে হয়নি চট্টগ্রামকে। দ্বিতীয় ম্যাচেও বল হাতে জ্বলে ওঠেন চট্টগ্রামের বোলাররা। এবার মুস্তাফিজের শিকার হন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর জেমকন খুলনা। কাটার মাস্টারের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ১৭.৫ ওভারে ৮৬ রানে অলআউট হয় খুলনা। ৩.৫ ওভার বল করে মাত্র পাঁচ রানে চার উইকেট নেন মুস্তাফিজ।

ছোট লক্ষ্য পেয়ে সহজেই জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম। টানা দুই জয়ে আত্মবিশ্বাস বেশ ভালো জায়গায় চট্টগ্রামের খেলোয়াড়দের। হ্যাটট্রিক জয়ের স্বাদ পেতে বরিশালের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে মিঠুনের দল।

হার দিয়ে এবারের আসর শুরু করে তামিমের বরিশাল। প্রথম ম্যাচে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও হারতে হয়েছে তাদের। জেমকন খুলনার কাছে চার উইকেটে ম্যাচ হারে বরিশাল। শেষ ওভারে ২২ রানের প্রয়োজনে চারটি ছক্কা মেরে বরিশালকে হারিয়ে দেন খুলনার আরিফুল।

প্রথম ম্যাচ হারলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুঁড়ে দাঁড়ায় বরিশাল। তামিমের ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম জয়ের স্বাদ পায় তারা। পাঁচ উইকেটে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে হারায় তারা। ১৩৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জ্বলে ওঠেন তামিম। ১০টি চার ও দুটি ছক্কায় ৬১ বলে অপরাজিত ৭৭ রান করেন তিনি। ফলে প্রথম জয়ের স্বাদ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী এখন তামিমের দলও।