মাদ্রিদ-সিটি ম্যাচে জেতেনি কেউই

Looks like you've blocked notifications!
দারুণ খেলেও ড্রতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দুই দলকে। ছবি : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজ

সেমিফাইনালের ড্রতে যেদিন ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের খেলা পড়লো, সেদিন থেকে ফুটবলপ্রেমিরা অপেক্ষায় ছিল আক্রমণাত্মক এক ম্যাচ দেখতে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে সান্তিয়াগো বার্ণাব্যুতে হতাশ হতে হয়নি দর্শকদের। মাদ্রিদ-সিটির আক্রমণ প্রতি আক্রমণে বার্ণাব্যুর নব্বই মিনিট কেটেছে দারুণ। কেউ কাউকে ছাড় দেয়নি এতটুকু। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় লেগ তাই ফাইনালের আগে অলিখিত ফাইনাল হবে দুই দলের জন্য।

গতকাল মঙ্গলবার (৯ মে) দিনগত রাত একটায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগে মুখোমুখি হয় রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মাদ্রিদকে শুরু থেকেই চেপে ধরে পেপ গার্দিওলার সিটি। তাদের ধারাপাত অনেকটাই এমন ছিল, মাঠে নাম আর গোল আদায় কর। চলতি মৌসুমে প্রতিপক্ষের গোলমুখে সবচেয়ে ভয়ংকর হয়ে ওঠা আর্লিং হলান্ড সপ্তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন। দারুণ সেভে মাদ্রিদকে বাঁচান গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিট বেশ অসহায় লেগেছে মাদ্রিদকে। সেখান থেকে বেরিয়ে ১৮ মিনিটে প্রথম আক্রমণ করেন করিম বেনজেমা। যদিও তা গোলের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ২৫ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও বেনজেমার রসায়নে সিটির ডি বক্সে সম্ভাবনা তৈরি করেছিল মাদ্রিদ। কিন্তু তা প্রতিহত করেন সিটির রুবেন দিয়াজ।

তবে, ৩৫ মিনিটে আর আটকে রাখা যায়নি ভিনিসিয়াসকে। মধ্যমাঠে লুকা মদরিচের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় সিটির রক্ষণ ভেঙে এগিয়ে যান কামাভিঙ্গা। ডি বক্সের বাইরে পাস বাড়িয়ে দেন ভিনিসিয়াসকে। বুলেট শটে তিনজনের ফাঁক দিয়ে বল জালে জড়ান মাদ্রিদের তরুণতুর্কি ভিনি। উল্লাসে মাতান ঘরের মাঠের দর্শকদের।

এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লস ব্লাংকোরা। প্রথমার্ধ্বে সিটি চমৎকার খেলছিল। মোটামুটি স্রোতের বিপরীতে গোল করেছে মাদ্রিদ। বিরতির পর ফিরে এসে গতি বাড়ায় কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। পাল্টা আক্রমণ করে সিটিজেনরাও। ৫২ মিনিটে ওয়ান টু ওয়ানে কেভিন ডি ব্রুইনিকে গোলবঞ্চিত করেন কর্তোয়া। ৫৫ মিনিটে হলান্ডকে রুখে দেন ডেভিড আলাবা।

কিন্তু, ৬৭ মিনিটে আর লিড ধরে রাখতে পারলো না লস ব্লাংকোরা। ইকার গুন্দোগানের পাসে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শট নেন ডি ব্রুইনি। ঝাঁপিয়ে পড়েও এবার দলকে রক্ষা করতে পারলেন না কর্তোয়া।

ম্যাচে এরপর আক্রমণ হয়েছে। দুই দল কিছুটা শারীরিক প্রদর্শনীও দেখিয়েছে। কেবল গোল হয়নি। পুরো ম্যাচে সিটির গোলমুখে মাদ্রিদ শট নিয়েছে ১৩টি, জবাবে সিটি নিয়েছে ১ টি। কিন্তু সবেধন নীলমণি গোল ওই একটি করেই।