ম্যাচ বিশ্লেষণ

মায়ার্সের হাত ধরে সাফল্যের পথ দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

Looks like you've blocked notifications!
ক্যারিবীয় ব্যাটার কাইল মায়ার্স। ছবি : সংগৃহীত  

গত বছর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৯৫ রান তাড়া করতে নেমে অপরাজিত ২১০ রান করে স্বপ্নের শুরু করেন কাইল মায়ার্স। ক্যারিবীয় এই ব্যাটারের এটি ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। এর আগে অভিষেকে কোনো ব্যাটার এমন সংগ্রহ গড়তে পারেননি।

মায়ার্স দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন আবারও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন চাপে তখন তাঁর অসাধরাণ ব্যাটিংয়ে দল ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।

মায়ার্স যখন ক্রিজে যান, তখন ১৩২ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অবশ্য বিনা উইকেটে ১০০ থেকে চার উইকেটে ১৩২ রান করে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। তাই বাংলাদেশ শিবির কিছুটা উচ্ছ্বসিত হয়। মায়ার্স-জারমেইন জুটি পঞ্চম উইকেটে ১১৬ রান যোগ করে বাংলাদেশের ২৩৪ পেরিয়ে যায়।

মায়ার্স ১২৬ রান করে ক্যারিবীয় দলটিকে ম্যাচে ফেরান। সাকিব আল হাসান আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং করে মায়র্সকে চাপে ফেলেছিলেন।

সকালের সেশনে চার উইকেট তুলে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশের বোলারদের পরবর্তী সময় ছিল হতাশাজনক।

পঞ্চম উইকেটে ১১৬ রানের জুটি মূলত বাংলাদেশের বোলারদের চাপে ফেলে। জারমেইন বড় সংগ্রহ গড়তে না পারলেও দলকে ম্যাচে ফেরাতে মূল্যবান অবদান রাখেন। তিনি ১২১ বলে ৪০ রান করেন। জোশুয়া ডি সিলভার সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতেও মায়ার্স আধিপত্য বিস্তার করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নেন, দলকে বড় লিডের পথ দেখান। 

মায়ার্সের কিছু শট বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহাকাব্যিক ইনিংসের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই বাঁ-হাতি কভার দিয়ে প্রচুর বাউন্ডারি মারেন। মিড-অন অঞ্চলে ছয়টি ছক্কাসহ দশটি বাউন্ডারি মারেন। অফ সাইডে তাঁর রান বেশি ছিল, অন সাইডে মাত্র একটি চার ও একটি ছক্কা ছিল। 

চট্টগ্রামের ইনিংস মায়ার্সের সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়। যা থাকে বেশ প্রশংসা পান তিনি।

মাত্র এক বছরেরও বেশি সময় পর মায়ার্স মুদ্রার অপর পিঠ দেখতে পান। কোনো ফিফটি ছাড়াই ১২ ইনিংস খেলেন। গত মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই টেস্টে থেকে বাদ পড়েন। তিনি সেন্ট জর্জ টেস্টে ফিরেন। সীম বোলিংয়ে চমৎকার স্পেল খেলেন। দুই ইনিংস মিলে সাত উইকেট নেন।

বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ইনিংসে ছয় উইকেট নিয়ে মায়ার্স তাঁর বোলিংয়ে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখেছেন। তৃতীয় দিনে একই স্পেলে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হককে ফিরিয়ে আবার বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেন। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে মায়ার্স আরও দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ছিটকে দেন।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে মায়ার্স বলেন, ‘আমরা দ্রুত তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম। তখন আমি ভেবেছিলাম কিভাবে পাল্টা আক্রমণ করা যায়। আমি যখন আক্রমণ করে খেলার সিদ্ধান্ত নেই তখন সাফল্য আসে।’