যে কারণে নাফিসকে খেতে দেননি রোহিতের স্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!

ভারতের ম্যাচ চলাকালীন গ্যালারিতে হাজির থাকেন রোহিত শর্মার স্ত্রী ঋতিকা সাজদেহ। রোহিতের ব্যাটিংয়ের সময় প্রায় তাঁর উচ্ছ্বাস ভেসে ওঠে টিভির পর্দায়। টানটান উত্তেজনার মুহূর্তগুলোতেও ভেসে ওঠে তাঁর চিন্তাভরা মুখ।

আবার ম্যাচে ভালো কিছু হলে নিজের চারপাশের মানুষকে উঠতে দেন না ঋতিকা। যেমন—এক মৌসুমে মুস্তাফিজের জন্য মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে ছিলেন নাফিস ইকবাল। তখন ম্যাচ দেখার সময় খিদা পেয়ে গিয়েছিল নাফিসের। কিন্তু ম্যাচের ভালো মুহূর্ত চলায় নাফিসকে খেতে যেতে দেননি ঋতিকা। মূলত কুসংস্কারে বিশ্বাসের কারণেই এমনটা করেছিলেন রোহিতের স্ত্রী।

গতকাল শুক্রবার তামিম-রোহিতের ফেসবুক আড্ডাতে উঠে আসে এমন মজার ঘটনা। প্রসঙ্গটা তোলেন তামিম। তখন নাফিসের নাম শুনতেই রোহিত বলেন, 'আমি তাঁর কথা জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলাম। উনি আমাদের সঙ্গে গত আইপিএলের আগেরবার ছিলেন। যখন মুস্তাফিজ ছিল দলে। তাঁকে আমার শুভকামনা জানিও।'

রোহিত আরো বলেন, 'আমি আমার স্ত্রীকে এই আড্ডার কথা বলেছিলাম, সে বলল নাফিস ভাইকে হাই বলতে। তুমি জানো তাঁকে কেন মনে রেখেছে সে? কারণ এয়ারপোর্টে নাফিস ভাই তাঁকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞেস করো। আমার স্ত্রীকে যেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দেয়, তাকেই সে খুব পছন্দ করে। সে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভালোবাসে।'

এরপরই বেরিয়ে আসে মূল গল্প। তামিম বলেন, 'ভাবির (রোহিতের স্ত্রী) সঙ্গে বসে খেলা দেখছিল আমার ভাই। তারা পরিবারের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে বসেছিল। আমার ভাইয়ের ভয়ংকর ক্ষুধা পেয়েছিল, কিছু খেতে চাইছিল। সে চাইছিল কিছু খেয়ে আসতে, কিন্তু ভাবি তাঁকে যেতেই দিচ্ছিল না। তিনি বলছিলেন, না, এখানেই থাকতে হবে, খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যাওয়া যাবে না। আমার ভাই তো ক্ষুধায় মরে যাচ্ছিল (হাসি)।'

রোহিতও হাসতে হাসতে জবাব দেন, 'হ্যাঁ, সে খুব কুসংস্কারে বিশ্বাস করে। খেলায় কোনো কিছু ভালো চললে, কেউ যদি নির্দিষ্ট কোথাও বসে, তাদের নড়তে দেয় না সে। আমি নিশ্চিত, ওই দুই মাসে তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল। একসঙ্গে ভ্রমণ করেছে, গ্যালারিতে বসেছে। খুব ভালো সম্পর্ক হয়েছে বলেই সে এভাবে বসে থাকতে বলেছে। কারণ, সম্পর্ক ভালো না হলে কাউকে এভাবে কিছু বললে কী মনে করবে, তাঁর তো ঠিক নেই।'