যে কারণে ভারতের বিপক্ষে স্লেজিং করেছিলেন যুবারা
যুব বিশ্বকাপে বরাবরই শক্তিশালী দল ভারত। তাই ভারতকে কাবু করতে ফাইনাল-যুদ্ধে বেশ আগ্রাসী ছিলেন সাকিব-শরিফুলরা। এই আগ্রাসী মনোভাব না থাকলে প্রতিপক্ষের সঙ্গে পেরে ওঠা সম্ভব ছিল না। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে পুরো ফাইনাল খেলেছেন বাংলাদেশের যুবারা, বিশেষ করে পেসাররা। চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার পর প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা।
মাঠে নামার আগেই স্লেজিংয়ের বিষয়টি মাথায় গেঁথে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের যুবারা। তাতে ভারতকে চেপে ধরার পরিকল্পনা কাজে লেগেছে শতভাগ। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে স্লেজিং করার মূল কারণটাও জানালেন শরিফুল-সাকিবরা।
পেস বোলার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানতাম, ওরা ফিল্ডিংয়ে নামলেই স্লেজিং করবে। আমরা যদি (স্লেজিং) নাও করি, তাহলেও ওরা করবে। তাই আমরাও আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে প্রস্তুত ছিলাম।’
আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিব বলেন, ‘আসলে ভারতের বিপক্ষে আমরা শেষ দুবার ফাইনালে হেরেছি। একবার এশিয়া কাপের ফাইনাল, আবার ইংল্যান্ডে। দুই ফাইনালের শিক্ষা থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ওদের সঙ্গে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে। আমাদের দলের পরিকল্পনা শুরু থেকেই ছিল যে ওদের কোনোভাবেই চড়াও হতে দেওয়া যাবে না। প্রথম থেকে ওদের আমরা চেপে ধরব। তাই আমাদের আগ্রাসী মনোভাব ছিল।’
ফাইনাল ম্যাচে পায়ে ব্যথা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাট করেন ওপেনার পারভেজ ইমন। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন ভারতের স্লেজিংয়ের বিপক্ষে। তাই ভারতকেও ছেড়ে দেননি পারভেজরা। তিনি বলেন, ‘আমরা আগ্রাসী না হলেও ভারত করবে। এটা আমাদের সবাই জানে ও দেখেছে। সবাই পরামর্শ দিয়েছে, তোমাদেরও এমন করতে হবে। তাই ওরা যেমন ছিল, আমরাও তেমন করেছি। সে জন্য মাঠে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে।’
বিশ্বকাপের মিশন শেষে গতকাল বুধবার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন বাংলাদেশের যুবারা। ফুল দিয়ে তাঁদের বরণ করে নেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তারা। মিষ্টিমুখ করানো হয় খেলোয়াড়, কোচসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। প্রত্যেককে পরিয়ে দেওয়া হয় ফুলের মালা।
এ ছাড়া বিশ্বকাপজয়ী দলের জন্য বিশেষ বাসের আয়োজন রেখেছিল বিসিবি। বাসে লেখা হয় ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন’। এই গাড়িতে করেই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শেরেবাংলায় পৌঁছান আকবররা। মিরপুরে ছিল আরো বিশাল আয়োজন। ক্রিকেটারদের বহনকারী বাসের সামনে ছিল শখানেক মোটরসাইকেল। রাস্তাজুড়ে মিছিল করে মিরপুরে আনা হয়। এরপর মাঠভরা দর্শকের সামনে কেক কেটে ক্রিকেটারদের বরণ করে নেন বিসিবির সভাপতি।
বিসিবির আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ নিজ নিজ গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন যুব দলের ক্রিকেটাররা। সেখান থেকে ফিরে আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ক্রিকেটাররা।