রাতে দেশে ফিরে সকালেই সুপারশপ উদ্বোধনে সাকিব

Looks like you've blocked notifications!
দেশে ফিরেই শুক্রবার সুপারশপ উদ্বোধন করতে যান সাকিব আল হাসান। ছবি : সংগৃহীত

করোনার এই সময়ে বিদেশ থেকে ফেরা যেকোনো ব্যক্তির জন্যই কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রে ঘটল উল্টো ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দেশে ফিরে সকালেই রাজধানীর একটি সুপারশপ উদ্বোধন করতে চলে যান অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।

বৃহস্পতিবার রাত ২টা নাগাদ ঢাকায় পা রাখেন সাকিব। এর ৯ ঘণ্টা না যেতেই গুলশানের একটি সুপারশপ উদ্বোধন করেন তিনি। ওই সুপারশপে সাকিব পা রাখতেই ভিড় জমে উৎসুক জনতার। ভিড় সামলাতে অনেকটা হিমশিমই খেতে হচ্ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের। ওই মানুষের ভিড়ের মধ্যে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন সাকিব, সবাইকে নিয়ে কেক কাটেন। আয়োজকদের অনুরোধে মাস্কও খুলে ছিলেন কিছুক্ষণ। এমনকি ওই অনুষ্ঠানে খুব কম মানুষের মুখেই মাস্ক দেখা যায়। 

এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হয়। সবার কাঠগড়ায় ছিলেন সাকিব। কারণ দেশে ফেরার কিছুক্ষণের মাথায় কিভাবে জনসমাগমে গেলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার?

কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী,  কোয়ারেন্টিন বিধি অনুযায়ী বিদেশ থেকে কেউ কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে এলে তাকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। নেগেটিভ সার্টিফিকেট না নিয়ে এলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা ১৪ দিন। সাকিব যদি নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন, তাহলে হোম কোয়ারেন্টিনে তাঁর থাকার কথা। কিন্তু কিছুই মানেননি তিনি।

বিসিবির বায়ো-বাবলে নেই বলে এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের সামনে মন্তব্য করতে রাজি হননি বোর্ডের কর্মকর্তারা। এমনকি বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে গত বছরের ২৯ অক্টোবর সব ধরনের ক্রিকেটে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন সাকিব। দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেছে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা। চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর থেকে ফের ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞামুক্ত সাকিব। ঘরের মাঠে কদিন বাদে গড়াবে বিসিবি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। ওই টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হবে দেশসেরা ক্রিকেটারের।