র‍্যাঙ্কিং থেকে সাকিবের নাম মুছে ফেলল আইসিসি!

Looks like you've blocked notifications!

জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার কথা আইসিসিকে না জানানোয় দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। এর মধ্যে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। তাই ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরের আগে আর ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারছেন না এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। এই কারণে টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিং থেকেও বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের নাম মুছে ফেলেছে আইসিসি।

সম্প্রতি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে নতুন করে হালনাগাদ করে আইসিসি। নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের নাম নেই কোথাও। তাই ওয়ানডের অলরাউন্ডারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে ইংলিশ ক্রিকেটার বেন স্টোকস উঠে এসেছেন শীর্ষে।

অবশ্য এর আগে সাকিব ছিলেন শীর্ষে। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের রেটিং পয়েন্ট ছিল ৪০৪। সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ায় স্টোকস ৩১৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়েও শীর্ষে উঠে যান।

টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিং থেকেও বাদ পড়েছেন সাকিব। এই বিভাগে অলরাউন্ডারের তালিকায় ৩৫৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বর ছিলেন তিনি। নতুন র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের জায়গা দখল করেছেন অস্ট্রেলীয় তারকা ক্রিকেটার গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল।

এদিকে টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এ ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ক্রিকেটার সেরা দশে নেই।

অবশ্য টেস্ট অলরাউন্ডারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের নাম রয়েছে এখনো। সেখানে ৩৯৭ রেটিং নিয়ে বাংলাদেশি তারকা আছেন তিনে।

তিনটি অভিযোগ এনে সাকিবকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। তবে ভুল স্বীকার করায় এক বছরের শাস্তি কমানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ফিরবেন ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর।

গত ২৯ অক্টোবর ওই তথ্য দেয় আইসিসি। নিজেদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে ক্রিকেটের নীতিনির্ধারক সংস্থা। আইসিসির এই নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিবকে ছাড়াই ভারত সফরে যায় বাংলাদেশ দল।

অভিযোগ উঠেছে, প্রায় দুই বছর আগে এক ক্রিকেট জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাব নাকচও করে তিনি। কিন্তু ঘটনাক্রমে বিষয় আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে জানাননি তিনি। দুই বছর বাদে সেই বিষয়টি সামনে এসেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে আইসিসি। সবমিলিয়ে তথ্য না জানানোর অপরাধে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লেন তিনি।

এর আগে ২০০৮ সালের মার্চে ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সময়ও জুয়াড়িদের ফোন পেয়েছিলেন সাকিব। বাজে পারফরম্যান্সের বিনিময়ে ‘স্পন্সরশিপ’ অফার করা হয়েছিল তাঁকে।

সাকিব তখন সঙ্গে সঙ্গেই বিসিবিকে সে প্রস্তাবের কথা জানান। বিষয়টি জানান আকসুর তখনকার রিজিওনাল ম্যানেজার কর্নেল কাজা নুরকেও। সে সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ।