লাহোরে লড়াই করতে পারল না বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!

ব্যাট হাতে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে তুলেছে ছোট সংগ্রহ। যা নিয়ে লাহোরে লড়াই করতেই পারল না বাংলাদেশ। ছন্দে থাকা শোয়েব মালিকের ব্যাটে সহজেই বাংলাদেশকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।

আজ শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৪১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তিন বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা সাবধানে করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম। তবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি একজনও। নাঈমের ব্যাটে শুরুতে কয়েকটি বড় শট এলেও পরে তিনিও ধীর গতিতে খেলতে শুরু করেন।

ধীরে শুরু করা দুই ওপেনার পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারে তোলেন মাত্র ৩৫ রান। পাওয়ার প্লেতে ৩৬ বলের ২২টিই ছিল ডট। প্রথম পঞ্চাশ ছুঁতে বাংলাদেশের লেগেছে ৪৬ বল। ১১তম ওভারে ভাঙে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। ৬৬ বলে ৭১ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি।

তামিমের পর লিটনের সঙ্গে জুটি বাধেন নাঈম।  কিন্তু বেশিদূর আগায়নি দ্বিতীয় জুটি। লিটনের আউটে ২৭ রানে ভাঙে দ্বিতীয় জুটি। সেট হয়ে রানের গতি বাড়াতে পারেননি নাঈমও। ১৪.৪তম ওভারে শাদাব খানের বলে আউট হন তিনি। ফেরার আগে ৪১ বলে তিন বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৪৩ রান করেন নাঈম। ১০ বল খেলে ফিরে যান আফিফও। শেষ তিন ওভারে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১৪১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ৩২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন হারিস রউফ। চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে একটি নেন শাদাব খান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় পাকিস্তান। রানের খাতা খোলার আগেই অধিনায়ক বাবর আজমকে হারায় স্বাগতিকরা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৩৫ রান তোলে পাকিস্তান। পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ হাফিজকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। ১৬ বলে ১৭ রানে ফিরে যান হাফিজ। তবে শোয়েব মালিকের সঙ্গে দারুণ ছন্দে ছুটেন আহসান আলী। ১২তম ওভারে সেই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন আমিনুল ইসলাম। ৩৬ রান করে ফেরেন আহসান।

ছোট লক্ষ্যের জবাবে তিন টপ অর্ডারকে হারিয়েও খুব একটা চাপে পড়েনি পাকিস্তান। ফর্মে থাকা মালিকের ব্যাটে চড়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ম্যাচ শেষে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন শোয়েব মালিক। 

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ২৮ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন আমিনুল ইসলাম। দুটি উইকেট নেন শফিউল। আর সমান একটি করে নেন মুস্তাফিজ ও আল-আমিন।

সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি। সবগুলো ম্যাচ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দেশে ফিরে আসবে বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তানে গিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে তারা খেলবে প্রথম টেস্ট। আর তৃতীয় দফায় আগামী ৩ এপ্রিল করাচিতে একমাত্র ওয়ানডের পর ৫ এপ্রিল সেখানেই দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ :  ২০ ওভারে ১৪১/৫ (তামিম ৩৯, নাঈম ৪৩, আফিফ ৯, লিটন ১২, মাহমুদউল্লাহ ১৯*, মিঠুন ৫* সৌম্য ৭, ; ইমাদ ৩-০-১৫-০, আফ্রিদি ৪-০-২৩-১, হাসনাইন ৪-০-৩৬-০, রউফ ৪-০-৩২-১ , মালিক ১-০-৬-০, শাদাব ৪-০-২৬-১)।

পাকিস্তান :  ১৯.৩ ওভারে ১৪২/৫  ( বাবর ০, আহসান ৩৬, হাফিজ ১৭, মালিক ৫৮*, ইফতেখার ১৬, ইমাদ ৬,  ; আমিনুল ৪-০-২৮-১, শফিউল ৪-০-২৭-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৪০-১, সৌম্য ২.৩-০-২২-০, আফিফ ১-০-৬-০)।

ফল :  পাঁচ উইকেটে জয়ী পাকিস্তান।