শেষের রোমাঞ্চে কোহলিদের হারাল পাঞ্জাব

Looks like you've blocked notifications!
নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে পাঞ্জাব। ছবি : সংগৃহীত

শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার মাত্র ২ রান, হাতে ৯ উইকেট। এমন সমীকরণ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের জন্য বেশ সহজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই সহজ সমীকরণকে কঠিন করে তোলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বোলাররা। জাগিয়ে তোলেন জয়ের আশা। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের নাগাল পায়নি বেঙ্গালুরু। শেষ বলের রোমাঞ্চে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে পাঞ্জাব।

শারজায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব। দলের পক্ষে সর্বাধিক ৬১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন লোকেশ রাহুল।

চলতি আইপিএলে পাঞ্জাবের দ্বিতীয় জয় এটি। আট ম্যাচে দুই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে আছে রাহুলের দল। অন্যদিকে সমান ৮ ম্যাচ খেলে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়তে আছে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু।

এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ রান সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরু। দলের পক্ষে সর্বাধিক ৪৮ রান করেন কোহলি। ৩৯ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল তিন বাউন্ডারি দিয়ে। টপ অর্ডারদের দারুণ শুরুর পর মাঝপথে কোহলি শিবির নাড়িয়ে দেয় পাঞ্জাবের বোলাররা। ১৮ ওভার শেষে ৬ উইকেটে মাত্র ১৩৭ রান তুলতে পারে ব্যাঙ্গালুরু। সেখান থেকে ক্রিস মরিস আর ইসুরু উদানার ক্যামিওতে ১৭১ রানে পৌঁছায় বেঙ্গালুরু।

মাত্র ১৩ বলে ৩৫ রান করেন মরিস-উদানা জুটি। এর মধ্যে মরিসেরই অবদান বেশি ছিল। ৮ বলে তার ২৫ রানের হার না মানা ইনিংসটিতে ছিল একটি চার আর তিনটি ছক্কা। এক ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন উদানা।

জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে দুই উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। গতকাল পাঞ্জাবের জার্সিতে আসরে প্রথমবার মাঠে নামেন ক্রিস গেইল। মাঠে নেমেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ক্যারিবীয় তারকা। গেইলের ইনিংসের শুরুটা ছিল ধীরগতির। তবে শেষ পর্যন্ত ৪৫ বল মোকাবিলা করে ৫৩ রান করেন ‘ইউনিভার্স বস’।

তবে এই জয়ের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন রাহুল। ৪৯ বলে ১ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। বড় অবদান ছিল আরেক ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালেরও। ২৫ বলে ৪ চার আর ৩ ছক্কায় ৪৫ রান করেন তিনি। ম্যাচের শেষ বল মোকাবিলা করে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন নিকোলাস পুরান।