শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত ফুটবলের রাজা
পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে মর্ত্যলোক থেকে বিদায় নিয়েছেন ‘ফুটবল রাজা’ পেলে। কোলন ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ‘কালো মানিক’ খ্যাত ফুটবলার পেলে। মৃত্যুর ৫ দিন পর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ব্রাজিল কিংবদন্তি।
আগের সিদ্ধান্ত অনুসারে, সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে পেলের মরদেহ রাখা হয় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় ফুটবল রাজাকে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ। ছুটে আসেন ভক্তরা। শ্রদ্ধা জানান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা। এ ছাড়াও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশনের (কনমেবল) সভাপতি আলেহান্দ্রো দমিনগেজ, কনফেডারেশন অব ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের (সিবিএফ) সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেজ।
সবার শ্রদ্ধা জানানো শেষে পেলের মরদেহ নিয়ে গাড়ি রওনা দেয় মেমোরিয়াল নেকরোপোল একিউমেনিকা সমাধিস্থলের দিকে। সেখানেই পেলেকে সমাহিত করা হয়।
সমাধিস্থলে পেলের মরদেহ নিয়ে ‘শেষযাত্রা’ হয় সান্তোসের রাস্তায়। কফিন নিয়ে যাওয়া হবে ক্যানাল ৬ সড়ক দিয়ে, যেখানে পেলের মা থাকেন। ১০০ বছর বয়সী পেলের মা শয্যাশায়ী। বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে পেলের অন্য আত্মীয়স্বজনেরাসহ শেষবিদায় জানিয়েছেন তাঁকে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার দেশটির স্থানীয় সময় বেলা ২টার দিকে সমাধিস্থ করা হয়।
মেমোরিয়াল নেকরোপোল একিউমেনিকা নামের সমাধিস্থলের ৯ম তলায় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পেলেকে সমাহিত করার কথা ছিল। সমাধিস্থলটি মূলত ১৪ তলা ভবন। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদলায়। সামহিত করা হয় প্রথম তলাতেই। যাতে সর্বসাধারণ মানুষ সহজেই ফুটবল রাজাকে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, পেলের সমাধিস্থল ঘিরে একটি জাদুঘর তৈরিরও পরিকল্পনা আছে কর্তৃপক্ষের।
সংবাদমাধ্যম মিরর জানিয়েছে, পেলের শেষ ইচ্ছা ছিল তাঁর প্রিয় শহর সান্তোসের মেমোরিয়াল নেকরোপোল একিউমেনিকা সমাধিস্থল তাঁর শেষ বিশ্রামের জন্য বেছে নেওয়া। সেই অনুযায়ী সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত ফুটবলের রাজা।