শ্রীলঙ্কাকে বড় লক্ষ্য দিতে পারল না বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ সেঞ্চুরির পরও বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ছবি : সংগৃহীত

শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্রুত টপ অর্ডারদের হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে ব্যাট করতে নামা মুশফিক ঢাল হয়ে থাকেন পুরো সময়। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি। উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।

আজ মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ৪৮.২ ওভারে ২৪৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২৭ বলে ১২৫ রান করেন মুশফিক। সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে সফল হয়েছিলেন তিনি।

এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে হারায় বাংলাদেশ। দুজনকেই এলবির ফাঁদে ফেলেন লঙ্কান পেসার দুশমন্থ চামিরা। নিজের স্পেলের প্রথম বলে প্রথমে তামিমকে ফেরান। যদিও তামিমকে প্রথমে আউট দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ককে সাজঘরে পাঠান তিনি। ৬ বলে ১৩ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

একই ওভারের চতুর্থ বলে ফিরিয়ে দেন তিনে ব্যাট করতে নামা সাকিবকে। চামিরার মিডল স্টাম্পে থাকা ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে পারেননি সাকিব। সঙ্গে সঙ্গে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন করে সফরকারীরা। তাতে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ না নিয়ে ফিরে যান সাকিব। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, মিডল স্টাম্পের উপরের দিকে লাগতো বলটি।

এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস। কিন্তু পারলেন না ইনিংস বড় করতে। ধারাবাহিক ব্যর্থতার মধ্যে ডুবে থাকা লিটন এই ম্যাচেও ব্যর্থ হলেন। দলীয় ৪৯ রানে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। দুই বাউন্ডারিতে ৪২ বলে ২৫ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ফিরে গেছেন লম্বা সময় পর একাদশে ফেরা সৈকতও।

দলীয় ৭৪ রানে চার উইকেট হারানোর পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাধেন মাহমুদউল্লাহ। ওই জুটিতে বড় সংগ্রহের আশা জাগে বাংলাদেশের। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ পারলেন না লম্বা সময় থিতু হতে। ৪১ রানে মাহমুদউল্লাহ ফিরলে ভাঙে ৮৭ রানের ওই জুটি। এরপর শেষের দিকের ক্রিকেটারদের নিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানের পুঁজি এনে দেন মুশফিক।

মাঝে বৃষ্টির কারণে দুই দফায় প্রায় এক ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। তবুও সেঞ্চুরি পেতে সমস্যা হয়নি মুশফিকের। দুই দফায় বৃষ্টির পর ব্যাক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। প্রায় দুই বছর পর ওয়ানডে ক্রিকেটে তিন অঙ্কের ঘরে গেলেন তিনি। সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক শেষ পর্যন্ত ১০ বাউন্ডারিতে ১২৫ রান করে আউট হন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৪৮.১ ওভারে ২৪৬/১০ (তামিম ১৩, লিটন ২৫, সাকিব ০, মুশফিক ১২৫, সৈকত ১০, মাহমুদউল্লাহ ৪১, আফিফ ১০, মিরাজ ০, সাইফউদ্দিন ১১, শরিফুল ০, মুস্তাফিজ ০; উদানা ৯-০-৪৯-২, চামিরা ৯.১-১-৪৪-৩, হাসারাঙ্কা ১০-১-৩৩-১, লাকশান ১০-০-৫৪-৩, ডি সিলভা ৩-০-২৩-০)।