সাউথ জোনকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন সেন্ট্রাল জোন

Looks like you've blocked notifications!

লক্ষ্যটা বড় নয়। জয়ের জন্য মাত্র ১৬৪ রান দরকার ছিল ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের। এই রান তাড়ায় দারুণ শুরুর পর হোঁচট খেলেও জয়ের নাগাল পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি সৌম্যদের। ৭.৩ ওভার হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। ইনডিপেন্ডেন্স কাপের ফাইনালে বিসিবি সাউথ জোনকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন।   

১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ হয় ওয়ালটনের। বিনা উইকেটে তোলে ৬৬ রান। এরপর কিছুটা ছন্দপতন হয়। ৬৬ থেকে ৭৬ রানে যেতে ৪টি উইকেট হারায় তারা। একে একে ফিরে যান সৌম্য সরকার (২১), মাজিদ (১),মোহাম্মদ মিঠুন (৪) ও মিজানুর রহমান (৩৯)।  

চার উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন সৈকত ও আল আমিন। এই জুটিতেই জয়ের নাগাল পেয়ে যায় ওয়ালটন। সৈকত করেন ৩৩ রান। আল আমিন করেন ৫৩ রান।

এর আগে শীতে সকালে রোদের দেখা  ছিল না। সিলেটে সেই সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগালো ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। শুরুতে বড় রানের আভাস দেওয়া বিসিবি সাউথ জোনকে বেশি দূর যেতে দিলেন না সৌম্য সরকাররা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অল্পতেই বিসিবি সাউথ জোনকে থামিয়ে দিল সেন্ট্রাল জোন।

আজ শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বিসিবি সাউথ জোনকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। অপু-সৌম্যদের দারুণ বোলিংয়ে ৪৮.৫ ওভারে ১৬৩ রানে অলআউট হয় সাউথ জোন।

যদিও ব্যাট হাতে পিনাক-বিজয় শুরুটা দারুণ করেছিলেন। দুজনের পঞ্চাশ রানের জুটি পার হতেই তাদের থামিয়ে স্বস্তি এনে দেন নাজমুল ইসলাম অপু। ২০ রানে বিজয় ফিরলে ৫১ রানে ভাঙে জুটি। এরপর সৌম্যর বলে ওপেনার পিনাক ঘোষও ফেরেন একটু পরেই। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান।

ওপেনিং জুটি ভাঙার পর শুধু হতাশাই দেখে সাউথ জোন।  দুই ওপেনার ফেরার পর নতুন ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়কে আউট করেন অপু। কিছুটা হাল ধরেন অমিত হাসান-জাকির হাসান। কিন্তু সেটাও বেশিদূর যায়নি। ১৪ রানে সৈকতের বলে জাকির বোল্ড হলে এই জুটিও ভেঙে যায় ৩৪ রানে। অমিতও বেশি দূর যেতে পারেননি। ২৯ রান করা অমিতও ফেরেন সৈকতের বলে।

কিছুটা লড়াই চালিয়ে যান নাহিদুল ইসলাম। তিনি এক প্রান্ত আগলে রাখলেও সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি সাউথ জোন। শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রানে থেমে যায় সাউথ জোন। টিকে থাকা নাহিদুল শেষ পর্যন্ত করেন ৩১ রান। শেষ চার ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি।

ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের হয়ে বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন সৈকত, অপু, সৌম্য, হাসান মুরাদ ও মৃত্যুঞ্জয়।

বিসিবি সাউথ জোন:  ৪৮.৫ ওভারে ১৬৩/১০

ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন: ৪২.৩ ওভারে ১৬৪/৪

ফল: ৬ উইকেটে জয়ী ওয়ালটন।