সাকিব দেশের সম্পদ, তাকে প্রটেক্ট করা আমাদের দায়িত্ব; দুবাই ইস্যুতে বিসিবি

Looks like you've blocked notifications!
সাকিব আল হাসান ও জালাল ইউনুস

মাঠে সাকিব আল হাসানের পারফরম্যান্স এক কথায় দুর্দান্ত। মাঠে অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে তিনি কুড়াচ্ছেন প্রশংসা, আবার সমালোচিতও হচ্ছেন মাঠের বাইরে নানা কর্মকাণ্ডে। সম্প্রতি দুবাইয়ে এক স্বর্ণের দোকানে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই অলরাউন্ডার। আর সেই ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

আজ শনিবার (১৮ মার্চ) বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গনমাধ্যমে সাকিব ইস্যুতে মুখ খোলেন।

গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জালাল ইউনুস জানান, ‘প্রথম কথা বলে নেই আমি ইনফ্যাক্ট এটা নিয়ে এই সিরিজের মাঝখানে এটা নিয়ে আলাপ করতে চাচ্ছিলাম না, কিন্তু যেহেতু আপনি প্রশ্ন তুলেছেন, আমি বলছি। পুরো ব্যাপারটা কিন্তু আমরা মিডিয়ায় দেখিছি, শুনেছি। যে ঘটনাটা ঘটেছে খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে। যখন নাকি একদিনের ব্যবধানে এটা হয়েছে। আমাদের ওই সময় হয়নি পুরো বিস্তারিত জানার বা যারা এটার মধ্যে কনসার্ন আছেন, তাদের জিজ্ঞেস করার। এটা সিরিজ শেষ হোক, অবশ্যই এই ব্যাপারে আমরা জানতে চাইব।’

ইংল্যান্ড সিরিজের পর সাকিব ঠিক কোথায় এবং কী কাজে যাচ্ছেন, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘আমরা জানি না, আমার ক্রিকেট অপারেশন্স জানে না ব্যাপারটা। জেনারেলি গ্যাপের মাঝখানে একটা ছুটি ছিল। দুটা সিরিজের মাঝখানে একটা ছুটির মতো ছিল, সেটা সে এভেইল করেছে, ব্রেকটা এভেইল করেছে। জানা ছিল, ১৭ তারিখ দলের সঙ্গে জয়েন করবে এটা আমরা জানতাম। কোথায় গেছে কী করেছে, বা কার সঙ্গে কী ছিল, বাণিজ্যিক ইনভলমেন্ট ছিল কি না এটা আমরা পরে জানতে পেরেছি। দ্বিতীয় ব্যাপার হচ্ছে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা অবশ্যই দেখব। কিন্তু সিরিজের মাঝে আলাপ করতে চাচ্ছি না।’ 

সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেন, ‘অবশ্যই। আমরা মনে করি, সাকিব ইজ অ্যা ভেরি সেন্সেবল বয়। তার সবকিছু সে জ্ঞান আছে এসব ব্যাপারে। কোথায় কী করতে হবে না হবে, খুব ভালো জানে। ব্যাপারটা কী ঘটেছে, সেজন্যই বললাম কেন ঘটেছে, কীভাবে ঘটল, কীভাবে ইনভলভমেন্ট হলো সেটা আমরা এখন পর্যন্ত জানি না। কারণ, এটা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করিনি। কারণ, একটু আগে বললাম, একদিন পরই সিরিজ শুরু হয়ে গেছে। একইসঙ্গে বোর্ডের সভাপতি ও সিইও বাইরে আছেন আইসিসি মিটিংয়ে, তারা আসলে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করব, কী করা যায়। ব্যাপারটা হচ্ছে আমাদের এখানে কমিটি আছে, ডিসিপ্লিনারি। তারা যদি মনে করে, এখানে কোনো কিছু আরও তদন্ত দরকার, তারা দেখবেন। আমার মনে হয়, একটু অপেক্ষা করা দরকার। এখন এগুলো নিয়ে আলাপ না করাই ভালো।' 

জালাল ইউনুস আরও যোগ করেন, ‘এখানে ক্রিকেট অপারেশন্স থেকে আমরা দেখব, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কী আছে তার। সেটা ভাঙা হয়েছে কি না। বাণিজ্যিক চুক্তি বোর্ডের ক্ল্যাশ করে কি না। যদি তেমন কিছু থাকে ডিসিপ্লিনারিতে, আমরা রেফার করতে পারি। এজন্য বললাম কোনো কিছু না জেনে, সবার থেকে জিজ্ঞেস না করে, ব্যাপারটা পুরোপুরি তদন্ত না করে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’ 

সাকিবকে প্রটেক্ট করবে বিসিবি?—এমন প্রশ্নে তার জবাব, ‘অবশ্যই। কারণ, সাকিব শুধু আমাদের বিসিবির সম্পদ না, দেশের সম্পদ। তার দিকে লুক আফটার করা আমাদের দায়িত্ব।’