সালাউদ্দিনকে নিয়ে যা বললেন সাবেকরা
বাংলাদেশের ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। ২০০৮ সালে তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির দায়িত্ব নেন। সবাই ভেবেছিল, তার হাত ধরে বহুদূর যাবে দেশের ফুটবল। দেড় দশক পর উন্নতির ছিটেফোঁটা তো দূরে থাক, বরং ফুটবল পৌঁছেছে অবনতির চূড়ান্ত পর্যায়ে। গত ১৪ এপ্রিল দুর্নীতির দায়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে বহিষ্কার করেছে ফিফা। যার দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে সালাউদ্দিনের কমিটি।
অধিকাংশ সাধারণ মানুষই সালাউদ্দিনকে দেশের ফুটবলের বড়কর্তা হিসেবে দেখতে চায় না। তার অধীনে কেবল দুর্নীতিই হয়েছে, ফুটবলকেন্দ্রিক ন্যূনতম কোনো কাজই হয়নি। সর্বশেষ সোহাগের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছেন সাবেক ফুটবলার ও সংগঠকরা। ফুটবলের জন্য কলঙ্কজনক এই কাণ্ডের পর সালাউদ্দিনকে নিয়ে বিরক্তই তারা। তার পদত্যাগ চান সাবেকরা।
তাদের একজন সাবেক ফুটবলার হাসানুজ্জামান বাবলু। এনটিভিকে তিনি বলেন, ‘সালাউদ্দিন সোহাগরা মিলেই দুর্নীতি করত, কিন্তু ফিফার নিষেধাজ্ঞা আসায় সোহাগকে বলির পাঠা বানানো হলো। খেলোয়াড় হিসেবে সালাউদ্দিন সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার হয়েছিলেন, এটি যেমন সত্য; তেমনি তার অধীনে দেশের ফুটবল সবচেয়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ,এটাও সত্যি।’
সালাউদ্দিনের একসময়ের সতীর্থ ও তার সঙ্গে নির্বাচন করা সাবেক ফুটবলার আব্দুল গাফফার এনটিভিকে বলেন, ‘এত বড় একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়কে দায়িত্ব দেওয়ার পর সবাই ভেবেছিল ফুটবলের উন্নতি হবে, কিন্তু তিনি ফুটবলের কথা না ভেবে নিজের কথা ভেবেছেন। যদি লজ্জা থাকে এখনই বাফুফের দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন তিনি। যিনি ১৫ বছরে কিছু করতে পারেননি, ৯০ বছরেও পারবেন না।’