সিলেটকে উড়িয়ে দিল রাজশাহী

Looks like you've blocked notifications!

লক্ষ্য মাত্র ৯২ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি রাজশাহী রয়্যালসের ব্যাটসম্যানদের। ইনিংসের শুরুতে ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাইকে হারিয়ে ধাক্কা খেলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন।

আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পঞ্চম ম্যাচে সিলেট থান্ডারকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। এই নিয়ে চলতি আসরে দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেল রয়্যালসরা। অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচের দুটিতেই হারাল সিলেট থান্ডার। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আগামীকাল শনিবার ঢাকা প্লাটুনের মুখোমুখি হবে সিলেট।

এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে সিলেট। অন্যদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার তারকা বহুল ঢাকা প্লাটুনকে উড়িয়ে দিয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। ঢাকা প্লাটুনের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী।

আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস জিতে সিলেট থান্ডারকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজশাহী রয়্যালস। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে সিলেট। শুরুর জুটিতে দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও জনসন চার্লস মিলে তোলেন ৩৫ রান। চতুর্থ ওভারে রনি তালুকদকে (১৯) এলবির ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান রাজশাহী অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। ষষ্ঠ ওভারে চার্লসকে বোল্ড করেন অলোক কাপালী। ফেরার আগে ১০ বলে ১৬ রান করেন তিনি। একই ওভারে জীবন মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দেন কাপালী। চার্লসের পর মেন্ডিসকেও বোল্ড করেন অলোক কাপালী।

সাবধানী শুরুর পর দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় সিলেট থান্ডার।

এরপর হাল ধরার চেষ্টা করেন আগের ম্যাচে সিলেটকে টেনে নেওয়া মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু এবার আর পারেননি। দশম ওভারে রবি বোপারার বলে হজরতউল্লাহ হাজাইয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিঠুন, ফেরেন ২০ রানে।

৭২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন অধিয়ানায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারেননি। ২১ বলে ২০ রান নিয়ে রবি বোপারার বলে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি সিলেট। ১৫.৩ ওভারে শেষ পর্যন্ত ৯১ রান সংগ্রহ করে সিলেট থান্ডার।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় রাজশাহী রয়্যালস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ বলে ৪৪ রান করেন লিটন দাস । দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ বলে ৩০ রান আসে আফিফের ব্যাট থেকে। শেষের দিকে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রান করেন শোয়েব মালিক।