সেদিন স্ত্রীর সঙ্গে কেঁদেছিলেন মেসি

Looks like you've blocked notifications!
পরিবারের সঙ্গে মেসি। ছবি : সংগৃহীত

গত মৌসুমে বার্সেলোনা ছাড়ার চিন্তা করলেও এবার থেকে যাবেন বলেই মনস্থির করেছিলেন লিওনেল মেসি। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। হঠাৎ এলো দুঃসংবাদ। গত বৃহস্পতিবার মেসির বাবা জোর্সে মেসি এসে জানালেন, বার্সার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ যেন আকাশ ভেঙে পড়ার মতো। ২১ বছর ধরে কাটানো ক্লাব ছেড়ে যেতে হবে শুনতে ভেঙে পড়েছিলেন মেসি। এ খবর শুনে স্ত্রীর সঙ্গে সেদিন কেঁদেছিলেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন মেসি। প্যারিসে নতুন ক্লাবের সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনেও নেমে গেছেন তিনি। এর মধ্যেই বার্সা নিয়ে গত কয়েকদিনের স্মৃতির গল্প বিবিসিকে শোনালেন আর্জেন্টাইন তারকা।

বিসিবিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে বাবা বাসায় এলেন। পুরো সন্ধ্যা তিনি (হুয়ান) লাপোর্তার (বার্সা সভাপতি) সঙ্গে ছিলেন। বাবা ফিরেই আমাকে ব্যাপারটি জানান। শুনে সত্যিই ভেঙে পড়েছিলাম। এরপর নিজেকে আমার প্রস্তুত করে নিতে হয়েছে আন্তোনেল্লাকে (মেসির স্ত্রী) বলার জন্য। আমরা কান্না করেছিলাম এবং সন্তানদেরও বিষয়টা জানাতে হতো। খুব খারাপ লাগছিল। তবে সন্তানদের বলার আগে আমরা দুজন পরস্পরের মন ভালো করার চেষ্টা করেছি। ওদেরকে বলার উপযুক্ত একটা উপায় খুঁজছিলাম, কারণ গত ডিসেম্বরেই ওদের বলেছিলাম যে আমরা বার্সেলোনাতেই থাকব।’

মেসির বড় ছেলের নাম থিয়াগো। আট বছর বয়সী থিয়াগো এখন অনেক কিছুই বুঝতে শিখেছে। তাই তার এটা মেনে নেওয়া বেশি কষ্ট হয়েছে বলে জানান মেসি, ‘আমরা জানতাম, এটা তাদের জন্য কতটা কঠিন হবে। বিশেষ করে থিয়াগোর জন্য। তবে কখনও কখনও আমরা বেশি দুশ্চিন্তা করি। যেমন আমরা যেমনটা ভেবেছি, ছেলেরা অতটা বাজেভাবে খবরটা গ্রহণ করেনি। থিয়াগো হয়তো তার ভাবনা চেপে রেখেছে। এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে, সে সবকিছু বেশ উপভোগ করছে। কিন্তু আমি তাকে বুঝি, সে আমার মতোই। সে মনে মনে কষ্ট পেলেও দেখাচ্ছে না। তবে এটা তেমন গুরুতর কিছু নয়। সে মানিয়ে নেবে এবং এটা তার জন্য ভালো অভিজ্ঞতা হবে।’

মেসি আশা করছেন বার্সা ছাড়ার দুঃখ দ্রুতই কাটিয়ে উঠবে তাঁর পরিবার, ‘ আমরা পাঁচজনই খুব খুশি থাকব এবং এই ক্লাবে আমরা সময়টা উপভোগ করব।’