হেসে খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

Looks like you've blocked notifications!

লক্ষ্য খুব একটা বড় নয়। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার চাই ১৪৪ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে সহজেই জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে প্রথম জয়ের দেখা পায় তারা। দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে সহজেই হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

গতবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এটি টানা দ্বিতীয় হার। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খুব বাজেভাবে হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সে ম্যাচে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। দক্ষিণ আফ্রিকাও আগের ম্যাচে হেরেছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আশা জাগিয়েও হেরে যায় ৫ উইকেটে। হেরে যায়

এদিন ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। দুই উইকেট হারালেও সাবলীল ব্যাটিং করে জয় তুলে নেয় তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলাররা মোটেও চাপে ফেলতে পারেনি তাদের। 

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রহ রসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মারক্রামের। দুজনে মিলেই দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। ডুসেন  ৫১ বলে ৪৩ রান করেন। মারক্রাম ২৬ বলে ৫১ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন।   

আজ মঙ্গলবার টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৪৩ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৫৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন লুইস। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি ছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারি দিয়ে।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ সাবধানী ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। প্রথম ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৪৪ রান তোলে ক্যারিবীয়রা। নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে হাতখুলে খেলেন লুইস। ১১তম ওভারে তাঁর ঝড় থামান কেশব মহারাজ। রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন লুইস।

ওয়ানডাউনে নেমে থিতু হতে পারেননি নিকোলাস পুরান। ৭ বলে ১০ রানে বিদায় নেন তিনি। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন ক্রিস গেইল ও কাইরন পোলার্ড। কিন্তু এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের জুটিও পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় সংগ্রহ উপহার দিতে। এই ম্যাচেও ব্যর্থ হলেন গেইল। ১২ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ব্যর্থ হন আন্দ্রে রাসেলও। ফলে বেশিদূর যেতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।