প্রাণঢালা ভালোবাসায় মেসি-নেইমারদের বরণ
বার্সেলোনায় এখন উৎসবের আমেজ। ইউরোপের প্রথম ক্লাব হিসেবে দুবার মৌসুমের তিনটি বড় শিরোপা বা ট্রেবল জয়ের ইতিহাসগড়া ফুটবলারদের বরণ করে নিতে বর্ণিল সাজে সেজে উঠেছে কাতালোনিয়ার রাজধানী। পতাকা, স্কার্ফ আর কনফেত্তি উড়িয়ে মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার-ইনিয়েস্তাদের বরণ করে নিয়েছেন কাতালানরা।
শনিবার রাতে বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে জুভেন্টাসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। তার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই রোববার রাতে ইউরোপসেরাদের বরণ করে নিতে ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে উপস্থিত হয়েছিল প্রায় ৬৭ হাজার বার্সা-ভক্ত। ছাদখোলা দোতলা বাসে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সারা শহর ঘুরে ন্যু ক্যাম্পে পৌঁছেছেন লুইস এনরিকের শিষ্যরা। বার্সার বিজয়োল্লাসের সাক্ষী বাসটির গায়ে লেখা ছিল: ‘চ্যাম্পিয়ন, দ্বিতীয় ট্রেবল, আমরা ইতিহাস লিখেই চলেছি।’
প্রিয় ক্লাবের অনন্য অর্জন সম্পর্কে এক সমর্থকের মন্তব্য, ‘২০০৯ সালের ট্রেবল ছিল জাদুকরী। কারণ সেটা ছিল প্রথমবার। কিন্তু দুবার এমন কৃতিত্ব সত্যিই বিশাল ব্যাপার।’ কাতালান পতাকা ওড়াতে-ওড়াতে আরেকজন বলেছেন, ‘সাফল্যের ব্যাপারে মৌসুমের শুরু থেকেই আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
ভক্তদের হর্ষধ্বনির সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন ফুটবলাররাও। ছাদখোলা বাসের ওপরে দাঁড়িয়ে নাচ আর গানের সঙ্গে পা-কোমর-কণ্ঠ মিলিয়ে তাঁরা এগিয়ে গেছেন ন্যু ক্যাম্পের পথে। এর মধ্যেই অনেকের চোখ খুঁজছিল দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসিকে। ছয় বছরের এক শিশু মাকে জিজ্ঞেস করছিল, ‘মেসি কোথায়?’ শিশুটির মা বললেন, ‘আমাদের বাড়িতে মেসিই নায়ক। কারণ সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। সে দারুণ খেলে।’
কিংবদন্তি খেলোয়াড় জাভির নামেও ছিল হর্ষধ্বনি। মেসি-জাভি ছাড়া সমর্থকদের কণ্ঠে ছিল ফাইনালের দুই গোলদাতা লুইস সুয়ারেজ ও নেইমারের জয়গান। মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার একসঙ্গে থাকলে আগামী মৌসুমেও যে এই গৌরবজনক ট্রফি বার্সেলোনায় আসবে, সে ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত আরেক সমর্থক। তিনি বলেছেন, ‘এই তিন ফরোয়ার্ড যত দিন গোল করতে থাকবেন, তত দিন বার্সেলোনা যেভাবে খুশি খেলতে পারবে। আর পরবর্তী মৌসুমে তাঁরা আমাদের ষষ্ঠ শিরোপা এনে দেবেন।’