সে রাতে কেন ঘুমাতে পারেননি শচীন?

Looks like you've blocked notifications!

ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার পর অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন শচীন টেন্ডুলকার। চারদিক থেকে ভেসে আসছে শুভেচ্ছা বার্তা। ক্লান্ত হলেও শচীন ভক্তদের ভালোবাসা তো ফিরিয়ে দিতে পারেন না। গোয়ালিয়রে ম্যাচ শেষ হলেও শচীনের আরাম ছিল না। সবাইকে বিদায় দিয়ে হোটেল রুমে ফিরতে ফিরতে প্রায় ১২টা। রুমে ফিরে ফোন খুলতেই আরো শখানেক অভিনন্দন বার্তা। আপনজনদের দেওয়া খুদে বার্তার জবাব দিতে গিয়ে রাত ২টা বেজে যায়।

গোয়ালিয়রে শচীনের জন্য যে কক্ষটা বুকিং করা হয়েছিল সেটা ছিল প্রধান বিল্ডিং থেকে কিছুটা দূরে। বলাই বাহুল্য, শচীনকে কোলাহল থেকে মুক্ত রাখতেই এমন ব্যবস্থা। কাচে ঢাকা জানালার ওপারে ঘুটঘুটে অন্ধকার। বাতাসে গাছের পাতার ঘষাঘষিতে ভিন্ন এক ধরনের আওয়াজ হচ্ছে। মনে হচ্ছে জানালার ঠিক ওপারে কেউ আছে!

নিকষ কালো অন্ধকার আর অদ্ভূত শব্দ মিলে পরিবেশটা বেশ ভূতুড়ে হয়ে ওঠে। চোখে ক্লান্তি থাকলেও ঘুম আসছে না ব্যাটিং মাস্টারের। শেষমেশ হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে ফোন দেন। সারারাত বাথরুমের লাইট জ্বালিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে বিছানায় গা এলিয়ে দিলেও সে রাতে ঘুমাতে পারেননি শচীন টেন্ডুলকার। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার রাতটা এভাবেই কাটিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার।

আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং মাই ওয়ে’তে এভাবেই সেই রাতের কথা বর্ণনা করেন শচীন। ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি বলেন, ‘আমি সেই রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারিনি। আমার কক্ষটা মূল হোটেলের বাইরে ছিল আর তার বাথরুমটা ছিল প্রকাণ্ড। বাইরে বেশ গাছপালা আর জমাট অন্ধকার। জায়গটা যেহেতু আমার পরিচিত ছিল না আর বাইরে কেমন যেন শব্দ হচ্ছিল। সত্যিই সে রাতটা সহজ ছিল না আমার জন্য। আর আমি সারা রাতই বাথরুমের লাইটটা জ্বালিয়ে রেখেছিলাম।’