প্রত্যাশিত জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল
ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩-১ গোলের জয়ের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে ওঠাটা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। গত রাতে স্তাদিও সেন্ট পাওলোতে ২৪ মিনিটে গোল করে অবশ্য ভিন্ন কিছুর ইঙ্গত দিচ্ছিল নাপোলি। তবে সার্জিও রামোস ও মোরাতার গোলে আবারও ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লস ব্লাঙ্কোসরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ইউরোপ-সেরার লড়াইয়ে শেষ আটে উঠল জিনেদিন জিদানের দল।
সেন্ট পাওলোতে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে নাপোলি। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা দলটি বারবারই রিয়ালের রক্ষণভাগে ত্রাস ছড়ায়। গোলের জন্যও খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। বেলজিয়াম ফরোয়ার্ড ড্রাইস মেরটেনসের গোলে এগিয়েও যায় নাপোলি। হামসিকের পাসে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে কেইলর নাভাসকে পরাজিত করেন মেরটেনস।
এক গোলে এগিয়ে থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে প্রথম লেগে হারা দলটি। আক্রমণের হারটা আরো বাড়িয়ে দেয় লরেঞ্জো ইনজাইনরা। এই অর্ধে অবশ্য সমতায় ফিরতে পারত রিয়াল। তবে রোনালদোর শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে এলে হতাশ হয় মাদ্রিদের দলটি। ৩৭তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন মেরটেনস। এই ফরোয়ার্ডের দারুণ শট গোলবার ঘেঁষে বের হয়ে যায়।
বিরতির পর জেগে ওঠে রিয়াল। আক্রমণের হার বাড়ান রোনালদো-বেল-বেনজমারা। এর ফলও পেয়ে যায় দলটি। টনি ক্রুসের কর্নারে হেড করে দলকে সমতায় ফেরান রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস। এর ছয় মিনিট পর আবার গোল করেন রামোস। এটা অবশ্য ছিল আত্মঘাতী গোল। এবারও গোলটি আসে কর্নার থেকে। আগেরবার ডান প্রান্ত থেকে শট নেওয়া ক্রুস এবার বাঁ প্রান্ত থেকে কর্নার কিক করেন। দারুণ হেডে বল জালে জুড়িয়ে দেন রামোস। তার আগে অবশ্য নাপোলির ডিফেন্ডারের মাথা ছুঁয়ে যায় বল।
খেলার একেবারে শেষ মূহূর্তে রিয়ালের হয়ে শেষ গোলটি করেন আলভারো মোরাতা। বাঁ প্রান্ত থেকে থেকে রোনালদোর শট ঠেকিয়ে দেন নাপোলির গোলরক্ষক। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ফিরতি শটে গোল করেন মোরাতা।