বাংলাদেশকে ’৯৬-র শ্রীলঙ্কা বানাতে চান হাথুরু

Looks like you've blocked notifications!

ক্রিকেটবিশ্বে শ্রীলঙ্কার আবির্ভাব ঘটেছিল ১৯৭৫ সালে। টেস্ট যাত্রা শুরু হয়েছিল আরো সাত বছর পর, ১৯৮২ সালে। তবে ’৯০-এর আগপর্যন্ত হারের পাল্লাই ভারী ছিল লঙ্কানদের ক্রিকেট পরিসংখ্যানে। সেটা নাটকীয়ভাবে বদলে যেতে শুরু করে ’৯০-এর মাঝামাঝি থেকে। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে সবাইকে চমকে দিয়ে শিরোপা জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। বদলে যেতে থাকে ক্রিকেটবিশ্বের হালচাল। নতুন পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের নাম সদর্পে ঘোষণা করেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। 

শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট অঙ্গনের এই বদলে যাওয়ার দৃশ্যটা একেবারে সামনের সারিতে বসে দেখেছেন বাংলাদেশের বর্তমান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। এ সময়েই নিজেদের জাত চিনিয়েছেন অরবিন্দ ডি সিলভা, সনাথ জয়সুরিয়া, মুত্তিয়া মুরালিধরন, অর্জুনা রানাতুঙ্গার মতো ক্রিকেটাররা। তাঁদের পথ ধরে ক্রিকেটবিশ্বে আগমন ঘটেছে কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনের মতো কিংবদন্তিদের।

বাংলাদেশকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে হাথুরুসিংহের বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে সেই ’৯০-এর দিনগুলো। তৎকালীন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশ দলের অনেক মিলও খুঁজে পাচ্ছেন এই লঙ্কান কোচ। বাংলাদেশকে হাথুরু নিয়ে যেতে চান ’৯৬-এর শ্রীলঙ্কার অবস্থানে। তাঁর আশা, বাংলাদেশ সবাইকে চমকে দেবে ঠিক শ্রীলঙ্কারই মতো। তিনি বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কা যে অবস্থানে ছিল, আমি ২০১৯ সালে বাংলাদেশকে ঠিক তেমন জায়গাতেই নিয়ে যেতে চাই। এটাই আমার লক্ষ্য।’

হাথুরুসিংহের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ক্রিকেট সেই পথে এগিয়েও গেছে অনেকখানি। ২০১৫ সালটা কাটিয়েছে স্বপ্নের মতো। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার পর ঘরের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলোকে। অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। এই প্রতিযোগিতায় ২০০৯ ও ২০১৩ সালে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ।