বাংলাদেশের শিশুদের পাশে বেকহাম
ডেভিড বেকহাম জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন ১০ বছর ধরে। ২০১৩ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়া ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এখন সামাজিক কর্মকাণ্ডে আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠছেন।
জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূতের ভূমিকায় ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন কর্মযজ্ঞ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এবার বেকহাম কাজ করবেন ‘পৃথিবীর প্রতিটি কোণের’ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে। বাংলাদেশও আছে বেকহামের নতুন পরিকল্পনায়। বাংলাদেশের শিশুদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করবেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক মিডফিল্ডার।
জাতিসংঘ ও বেকহামের এই মিলিত উদ্যোগের নাম ‘৭ : দ্য ডেভিড বেকহাম ইউনিসেফ ফান্ড’। ম্যানইউ ও জাতীয় দলে বেকহামের ৭ নম্বর জার্সির জন্যই উদ্যোগের শুরুতে ৭ সংখ্যাটি রাখা হয়েছে। সোমবার লন্ডনে গুগল কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে বেকহাম বলেন, ‘জীবনে যা কিছু করেছি, আমার ফুটবল-ক্যারিয়ার, আমার পরিবার সবকিছু আমাকে এদিকে তাড়িত করেছে। পৃথিবীর প্রতিটা কোণের শিশুদের সাহায্য করার জন্য যথাসম্ভব সব কিছু করব। আমার নিজের ছেলেরাও যেন এটা নিয়ে গর্ববোধ করে।’
জার্সি নম্বরের সঙ্গে মিল রেখে শিশুদের জন্য সাতটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবেন বেকহাম। এগুলো হলো এল সালভাদরে শিশুহত্যা, পাপুয়া নিউ গিনিতে অপুষ্টি, সুইজারল্যান্ডে এইচআইভি, জিবুতিতে মাতৃমৃত্যু, বাংলাদেশে শিক্ষা, বুরকিনা ফাসোতে কলেরা, ইতালির রাজধানী রোমায় শিক্ষা এবং সার্বিয়ায় প্রতিবন্ধী শিশু।
ইবোলা, অপুষ্টি ও এইডস নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেকহাম দক্ষিণ আফ্রিকা, সিয়েরা লিয়ন, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনে ভ্রমণ করেছেন। শিশুদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করার জন্য আগামীতে হয়তো বাংলাদেশেও দেখা যাবে এই সুদর্শন ফুটবল-তারকাকে।