সিটির কান্না, অ্যাটলেটিকোর হাসি

Looks like you've blocked notifications!

খেলা শেষে আগুয়েরোদের মুখের দিকে তাকানোই যাচ্ছে না। পেপ গার্দিওলা যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। একটু আগে যা দেখেছেন, তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না এই কোচ। ভিন্ন চিত্র মোনাকো শিবিরে। আনন্দে আত্মহারা ফরাসি ক্লাবটি। তাদের কাছেও এই জয় কিছুটা অবিশ্বাস্যই। কারণ, ইতিহাদে প্রথম লেগের ম্যাচটা ৫-৩ গোলে জিতেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটটা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে গতকাল বুধবার রাতে ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যেই বদলে যায় ম্যাচের আবহ। ম্যাচের প্রথমার্ধটা শেষ হয় ২-০ গোলে। এরপরই ম্যাচ শেষের ফলটা ৩-১। দুই লেগ মিলিয়ে ফল ৬-৬। সিটির মাঠে গিয়ে বেশি গোল করায় শেষ আটে উঠল মোনাকো। 

ঘরের মাঠে সিটিজেনদের চেপে ধরে মোনাকো। একের পর এক আক্রমণ এসে আছড়ে পড়ে সিটির রক্ষণভাগে। প্রথমার্ধের ৮ মিনিটের কিলিয়ান বাপে লিড এনে দেন মোনাকোকে। সিলভার বাড়িয়ে দেওয়া বলটি পায়ের আলতো ছোঁয়ায় সিটির জালে জড়ান কিলিয়ান। ২৯তম মিনিটে সিটির জাল কাঁপান ব্রাজিলিয়ান ফাবিনিয়ো। আট গজ দূর থেকে নিচু শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডার ফাবিনিয়ো। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মোনাকো।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল ম্যানসিটি। ৭১ মিনিটে সিটির হয়ে একটি গোল শোধ দেন লিরয় সানে। তবে ৭৭ মিনিটে বাকাইয়ুকুর গোল সিটির হারটা নিশ্চিত করে দেয়। সেই সঙ্গে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে সিটির নিশ্চিত হয়ে যায়। ভিসেন্তে কালদেরনে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শেষ আট নিশ্চিত করেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে স্বাগতিক অ্যাটলেটিকো। প্রথম লেগের ৪-২ ব্যবধানে জয়ের কারণে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা।