শুভ জন্মদিন তামিম!

Looks like you've blocked notifications!

এমন বর্ণিল জন্মদিন ২৮ বছরের জীবনে খুব কমই কাটিয়েছেন তামিম ইকবাল। আগের দিনই জিতেছেন বাংলাদেশের শততম টেস্ট। যে জয়ে তিনিই ছিলেন অন্যতম নায়ক। দুই ইনিংসেই লড়াকু ব্যাটিং করে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। সত্যিই! এবারের জন্মদিনটা স্মরণীয়ই হয়ে থাকবে তামিম ইকবালের জীবনে।

কলম্বোতে বাংলাদেশের শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র এক রানের জন্য অর্ধশতক করতে পারেননি তামিম। ফিরেছিলেন ৪৯ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন আরো দারুণভাবে। এবার তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৮২ রানের ইনিংস। যেভাবে খেলছিলেন, তাতে শতকটাও পূর্ণ করে ফেলতে পারতেন এই বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু দিলরুয়ান পেরেরার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিন অঙ্কে আর পৌঁছাতে পারেননি। তবে শতক না পাওয়ার আক্ষেপ নিশ্চয়ই আর নেই তামিমের। বাংলাদেশের শততম টেস্টে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতার পর শতকের আক্ষেপ আর কে-ই বা করে।

২০১৩ সালেও ঠিক একই সময়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন তামিম। সেবারও জন্মদিনের ঠিক আগের দিন, অর্থাৎ ১৯ মার্চ শেষ হয়েছিল ম্যাচটি। তবে সেই ম্যাচে হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তামিমকে।

জন্মদিনে এই শ্রীলঙ্কারই বিপক্ষে আরেকটি দারুণ জয়ের সুখস্মৃতি অবশ্য আছে বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের। সেটি ওয়ানডেতে। ২০১২ সালে এশিয়া কাপে এই ২০ মার্চেই বাংলাদেশ হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করেছিল এশিয়া কাপের ফাইনাল। সেই ম্যাচে তামিম খেলেছিলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ, ৫৯ রানের ইনিংস। তবে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কারটা অবশ্য জিতেছিলেন সাকিব আল হাসান। বল হাতে দুই উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও সাকিব করেছিলেন ৫৬ রান।