তিন অধিনায়ক যুগে বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!

তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কের রেওয়াজ ক্রিকেটে এখন বেশ প্রচলিত। কয়েকটি দেশ এই রীতি মেনেও চলছে। বাংলাদেশও এখন সেই পথে হাঁটছে। সাকিব আল আহাসনকে টি-টোয়েন্টির নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করে তিন অধিনায়ক যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।

এর আগে টেস্ট ক্রিকেটে মুশফিকুর রহিম এবং ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে দলের অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাশরাফি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ায় তিন ঘরানায় তিনজন অধিনায়ক হয়েছেন। টেস্টে মুশফিকুর রহিম, ওয়ানডেতে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও টি-টোয়েন্টিতে সাকিব আল হাসান।

অবশ্য সাকিব এর আগেও একবার অধিনায়ক ছিলেন। তাঁর অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল। কিন্তু জিততে পারেনি একটি ম্যাচও।  

শুধু টি-টোয়েন্টিই নয়, এর আগে ৯টি টেস্ট ও ৪৯টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব। পরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পর হলেও আবার তাঁকে নেতৃত্বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে টি-টোয়েন্টি দিয়ে।  

তবে সাকিব টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পঞ্চম অধিনায়ক। এর আগে শাহরিয়ার নাফীস একটি, মোহাম্মদ আশরাফুল ১১টি, সাকিব ৪টি, মুশফিকুর রহিম ২৩ ও মাশরাফি বিন মুর্তজা ২৮টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন।  

অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলকে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। এখন পর্যন্ত সব ঘরানার ক্রিকেটেই তিনি বাংলাদেশ দলের প্রথম অধিনায়ক।

এর প্রায় ১৪ বছর পর ২০০০ সালে বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেক হয়। ঢাকায় বাংলাদেশ দলকে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব দেন নাইমুর রহমান দুর্জয়। সে বছর নভেম্বরে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সে টেস্ট খেলেছিল লাল-সবুজের দল।

তবে ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ প্রথম মাঠে নেমেছিল ২০০৬ সালে। খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সে ম্যাচে নেতৃত্ব দেন শাহরিয়ার নাফীস। বাংলাদেশ সে ম্যাচে জিতেও ছিল।