চ্যাম্পিয়নস ট্রফি

বাংলাদেশের প্রত্যাবর্তনে নজর আইসিসির

Looks like you've blocked notifications!

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নজর রাখবেন যে বিষয়গুলোতে- এমন শিরোনামে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইসিসি। তরুণদের উত্থান, প্রতিটা ম্যাচেরই অপরিসীম গুরুত্ব, অনেক রানের সম্ভাবনা- এমন অনেক কিছুর দিকেই উৎসুক দর্শকদের নজর দিতে বলেছে আইসিসি। আর সেখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে আছে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের প্রত্যাবর্তন।

বাংলাদেশ শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলেছিল ২০০৬ সালে। এরপর আর মূল আসরে খেলার সুযোগ জোটেনি সর্বশেষ দুটি আসরে। এই ১০ বছরের ব্যবধানে অনেক কিছুই বদলে গেছে ক্রিকেট বিশ্বে। বাংলাদেশ এখন হয়ে উঠেছে সমীহজাগানিয়া শক্তি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকা- সব বড় দলগুলোর বিপক্ষেই পাল্লা দিয়ে লড়াই করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে দেখছেন অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ।

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিও বাংলাদেশের এই প্রত্যাবর্তনকে দেখছে আইসিসির অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে। আইসিসির সেই প্রতিবেদনটিতে লেখা হয়েছে, ‘২০০৬ সালের পর থেকে বাংলাদেশ আর অংশ নিতে পারেনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। গত দুই বছরে অবশ্য অনেক কিছুই বদলে গেছে। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে যাওয়াটা বিশেষভাবে উল্লেখের দাবি রাখে। এরপর ঘরের মাটিতে তারা টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। উঠে এসেছে র‍্যাংকিংয়ের সাত নম্বরে (এখন অবশ্য বাংলাদেশ আছে ছয় নম্বরে)। বাংলাদেশের এই উত্থানের কারণে এ বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ মেলেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। বিদেশের মাটিতে নিজেদের সক্ষমতা অবশ্য এখনো প্রমাণ করা বাকি বাংলাদেশের। আর এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা সেটার আদর্শ একটা সুযোগ।’ মাশরাফি-মুশফিক-সাকিবরা সত্যিই সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আগামী ১ জুন থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। উদ্বোধনী ম্যাচেই স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।