সৌম্যর কাছে শতকের চেয়েও দামি ইনিংস

এত দিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র একটাই জয় ছিল বাংলাদেশের, ২০০৭ বিশ্বকাপে ৬৭ রানের। সেই ম্যাচে ৮৭ রান করে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। দীর্ঘ আট বছর পর প্রোটিয়া-বধের অন্যতম রূপকার সৌম্য সরকার। এই বাঁহাতি ওপেনারের অপরাজিত ৮৮ রানের ওপরে ভর করে সহজেই ৭ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। এমন একটা ইনিংস খেলে দারুণ খুশি সৌম্য। গত এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে করা শতকের চেয়েও এই ইনিংসকে এগিয়ে রাখছেন তিনি।
urgentPhoto
দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে সংবাদ সম্মেলনে সৌম্যর মন্তব্য, ‘একে তো উইকেট বেশ টাফ। তা ছাড়া পাকিস্তানি বোলারদের চেয়ে প্রোটিয়া বোলারদের খেলা অনেক কঠিন। তাই একমাত্র সেঞ্চুরির চেয়ে এই ইনিংসটাকেই আমি এগিয়ে রাখব।’
সৌম্যর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, শেষ বলে ছক্কা মেরেই কি আশরাফুলকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ছিল তাঁর? বিনয়ী এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের জবাব, ‘না, সে রকম কোনো লক্ষ্য আমার ছিল না। আমার শুধু একটাই লক্ষ্য ছিল, শেষ পর্যন্ত খেলে যাওয়া। দলের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া।’
বড় ইনিংস খেলার প্রতিজ্ঞা নিয়ে ব্যাট করতে নামার কথাও জানালেন সৌম্য, ‘গত কয়েকটি ইনিংস ৪০/৫০-এর ঘরে আটকে যাচ্ছিলাম। বড় ইনিংস খেলতে না পারার অপবাদও উঠছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিজ্ঞা ছিল ঠিকই, তবে সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন দেখিনি।’
বাংলাদেশের আরেকটি স্মরণীয় জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভীষণ তৃপ্ত এই আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান, ‘দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেছি, আর নিজের ইনিংসকেও বড় করতে পেরেছি। তাই খুব স্বস্তি হচ্ছে আর ভালোও লাগছে।’
আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়ে হৈচৈ ফেলে দেওয়া কাগিসো রাবাদাকে ভালোভাবে সামলানো সম্পর্কে সৌম্য বলেন, ‘রাবাদা সেদিন খুব ভালো বল করেছিল। তবে তাকে আমার এমন কোনো অসাধারণ বোলার মনে হয়নি। নতুন বোলার বলেই হয়তো প্রথম ওয়ানডেতে সে সাফল্য পেয়েছিল।’