রোনালদিনিয়ো এখন ফ্লুমিনেসিতে
একসময় বার্সেলোনার জার্সি গায়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, জিতেছেন বেশ কয়েকটি শিরোপা। দুবার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জয়ও ন্যু ক্যাম্পে থাকার সময়ই। জীবনের সেই সোনালি দিনগুলো বহু আগেই পেছনে ফেলে এসেছেন রোনালদিনিয়ো। মাঝে প্রায় এক বছর একটি মেক্সিকান ক্লাবে কাটিয়ে এখন তাঁর ঠিকানা স্বদেশের ফ্লুমিনেসি।
ফ্লুমিনেসির ঐতিহ্যবাহী মেরুন-সবুজ-সাদা ডোরাকাটা জার্সি পরে সম্প্রতি একটি ছবি টুইট করেছেন রোনালদিনিয়ো। ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখা এই ফরোয়ার্ডের হাতে ছিল আরেকটি জার্সি। ছবির নিচে রোনালদিনিয়ো লিখেছেন, ‘যোদ্ধা! ঘরের ফেরা অনুভব করছি! সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। তেরঙা হতে পেরে গর্ববোধ করছি। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি।’
বার্সেলোনায় পাঁচ মৌসুম কাটিয়ে দুবার লা লিগা ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিলেন রোনালদিনিয়ো। ২০০৪ ও ২০০৫ সালে টানা দুবার ফিফা বর্ষসেরা হওয়া ছাড়াও আরো অনেক পুরস্কার ন্যু ক্যাম্পে থাকার সময়ই পেয়েছিলেন তিনি।
তবে ২০০৮ সালের জুলাইয়ে বার্সেলোনা ছেড়ে ইতালির এসি মিলানে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর পারফরম্যান্সে ভাটার টান পড়ে। মিলানে তিন মৌসুম কাটিয়ে একবার সেরি-আর শিরোপা জয়ই রোনালদিনিয়োর উল্লেখযোগ্য সাফল্য।
মিলানে থাকতেই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। ইউরোপেও আর থাকতে পারেননি। ২০১২ সালের জুনে যোগ দেন ব্রাজিলের ফ্লামেঙ্গোতে। সেখানে দুই এবং ব্রাজিলের আরেক ক্লাব আতলেতিকো মিনেইরোতে আরো দুই মৌসুম কাটানো রোনালদিনিয়ো গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুই বছরের চুক্তিতে পাড়ি দেন মেক্সিকান ক্লাব কেরেতারোতে। কিন্তু সেখানেও জ্বলে উঠতে পারেননি। অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের কারণে গত মাসে তাঁকে ছেড়ে দেয় কেরেতারো।
তবে বেশি দিন ‘বেকার’ থাকতে হলো না। ফ্লুমিনেসিতে যোগ দেওয়ায় ৩৫ বছর বয়সে রোনালদিনিয়োর সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ।