বিদায়ী আইমারকে মেসির শুভকামনা

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলার সময় বিখ্যাত আকাশি-সাদা জার্সিতে পাবলো আইমার (ডানে) ও লিওনেল মেসি। ছবি : রয়টার্স

লিওনেল মেসি প্রায়ই বলেন, পাবলো আইমার তাঁর জীবনের অন্যতম আদর্শ। সাবেক সতীর্থর অবসরের সিদ্ধান্তে তাই বিষণ্ণ আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। তবে মন খারাপ হলেও আইমারের প্রতি শুভকামনা জানাতে ভোলেননি বার্সেলোনার তারকা।

নিজের ফেসবুক পেজে মেসি লিখেছেন, ‘একজন অসাধারণ খেলোয়াড় অবসর নিতে যাচ্ছেন। তিনি আমার অন্যতম আদর্শ। পাবলো আইমার, জীবনের পরবর্তী পর্বের জন্য আপনার প্রতি শুভকামনা রইল। ফুটবল-জাদু দিয়ে আমাদের অনেক আনন্দ দেওয়ার জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ।’ 

জাতীয় দলে দীর্ঘদিন সতীর্থ ছিলেন মেসি ও আইমার। ২০০৬ বিশ্বকাপে একসঙ্গে খেলেছিলেন, ছিলেন ২০০৭ কোপা আমেরিকায় রানার্সআপ হওয়া আর্জেন্টিনা দলেও।

সব সময় হাসিমুখে থাকা আইমারের ফুটবল-দুনিয়ায় একটা ডাকনাম আছে, ‘পাইয়াসো’। যার অর্থ ‘ক্লাউন’ বা ভাঁড়। 

একসময় প্রতিভাবান হিসেবে বিবেচিত হলেও আইমারের ক্যারিয়ার সেভাবে বিকশিত হতে পারেনি। ১৯৯৯ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ১০ বছরে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ৫২ ম্যাচে আট গোলেই তা প্রতিফলিত। এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের ক্লাব ক্যারিয়ারও তেমন উজ্জ্বল নয়। ইউরোপে তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ক্লাব স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া ও পর্তুগালের বেনফিকা। ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে অবশ্য দুবার স্প্যানিশ লা লিগায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। ২০০১ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগে রানার্সআপ হওয়ার স্বাদও পেয়েছিলেনঅ

গত জানুয়ারিতে ফিরেছিলেন স্বদেশের বিখ্যাত ক্লাব রিভার প্লেটে। তবে এপ্রিলে গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার করানোর পর আর সেভাবে ছন্দে ফিরতে পারেননি। পায়ের ব্যথাও পুরোপুরি যাচ্ছিল না। কোচ মার্সেলো গালার্দোকে সে কথা জানিয়েওছিলেন।

শেষমেশ ৩৫ বছর বয়সে অবসরের সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেললেন আইমার।