‘পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শিখতে হবে’

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনার তামিম ইকবালের আউটের পর অন্য ব্যাটসম্যানরাও খুব একটা লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংস পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-ই চালিয়েছিল বাংলাদেশ। ৭২ রানে পিছিয়ে পড়লেও লড়াইয়ে টিকে ছিল ভালোভাবেই। সব গড়বড় হয়ে গেল দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে। মাত্র ৪৩ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটাও তখনই হাতছাড়া হয়ে গেল বাংলাদেশের। চারদিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া তুলে নিল ৭ উইকেটের সহজ জয়।

টেস্ট ক্রিকেটে এই পরিস্থিতিগুলোর সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়, কীভাবে পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনমতো খেলার ধরন বদল করা যায়, সেই প্রশ্নগুলোর উত্তরই এখন খুঁজছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারররা।

ডেভিড ওয়ার্নারের মতো আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান যে রকম ধীরস্থিরভাবে শতরানের একটি ইনিংস খেলেছেন, সেটাকেও দৃষ্টান্ত হিসেবে হাজির করেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘একটা সেশন খারাপ গেলে পুরো ম্যাচের পরিস্থিতিটাই বদলে যায়। আমাদের মানসিকতায় কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। কৌশলগত জায়গাগুলো নিয়েও ভাবা দরকার। এগুলোতে আমাদের কিছু ঘাটতি আছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টেও হয়েছে, আজকেও হয়েছে। একটা সেশন খারাপ খেলে আমরা হারের মুখ দেখেছি। ম্যাচের পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নিতে হয়, সেগুলো আমাদের আরো শিখতে হবে। ওয়ার্নার যেমন খুবই আক্রমণাত্মক খেলেন। কিন্তু এখানকার পরিস্থিতি অনুযায়ী তিনি খুবই ধীরস্থিরভাবে খেলেছেন।’

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৪৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে আক্রমণাত্মক খেলে গেছেন সাব্বির রহমান। নাথান লায়নের বল উইকেট থেকে বেরিয়ে মারতে গিয়ে পড়েছেন স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে। অথচ ষষ্ঠ উইকেটে সাব্বির আর মুশফিকের ৫৪ রানের জুটিটির দিকে তাকিয়েই নতুন করে আশা জেগেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। এ সময় আরেকটু দেখে-শুনে খেলার চেষ্টা তো করতেই পারতেন সাব্বির। অধিনায়ক মুশফিক হয়তো এই বিষয়গুলোর দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।