ইয়াসিরের রেকর্ডের দিনে ভালো অবস্থানে শ্রীলঙ্কা

Looks like you've blocked notifications!

দরকার ছিল মাত্র একটি উইকেটের। সেটার দেখা পেতে করতে হলো মাত্র ২৯টি বল। দিনের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে লাহিরু থিরিমান্নেকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেই নতুন ইতিহাস গড়লেন পাকিস্তানের লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ। দ্রুততম স্পিনার হিসেবে টেস্টে তিনি ১৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন। সব মিলিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন এই স্পিনার। রেকর্ডটি গড়তে ইয়াসিরকে খেলতে হয়েছে মাত্র ২৭টি টেস্ট। 

আবুধাবি টেস্টে নামার আগে ইয়াসিরের উইকেটসংখ্যা ছিল ১৪৯টি। রেকর্ডটা গড়তে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে। থিরিমান্নের উইকেটটি নিয়েই উল্লাসে মেতে ওঠেন তিনি। স্পিনার হিসেবে তাঁর চেয়ে দ্রুততম সময়ে আর কেউ দেড়শ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেননি। স্পিনার হিসেবে এর আগে রেকর্ডটি ছিল অসি বোলার ক্ল্যারি গ্রিমেটের। ১৯৩৪ সালে ২৮তম টেস্টে তিনি দেড়শ উইকেট নিয়েছিলেন। তালিকার তৃতীয় নামটি হিউজ টাইফিন্ডের। ২৯ টেস্টে এই রেকর্ড গড়েছিলেন প্রোটিয়া স্পিনার।

পরের দুটি নাম বেশ পরিচিত। সাঈদ আজমল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দেড়শ উইকেট নিতে দুজনকেই ২৯টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে। তবে একটা জায়গায় ইয়াসিরের চেয়ে এগিয়ে আছেন অশ্বিন। দেড়শ উইকেট নিতে অশ্বিন ছুড়েছেন আট হাজার ৩৮০ বল। সেখানে অশ্বিনের চেয়ে ১৫টি বল বেশি করতে হয়েছে ইয়াসিরকে। আট হাজার ৩১২ বল করে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন সাবেক অসি লেগ স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল।

পেসার ও স্পিনারের তালিকায় বোলার হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইয়াসির শাহ। ২৪ টেস্টে দেড়শ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে রয়েছেন অসি কিংবদন্তি সিডনি বার্নস। এরপরই রয়েছেন সাবেক পাক কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনুস। ইয়াসিরের মতো তিনিও ২৭তম টেস্টে দেড়শতম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন।

ইয়াসিরের রেকর্ডের ম্যাচে অবশ্য ভালো অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দিনের খেলা শেষে ৪ উইকেটে ২২৭ রান করেছে চান্দিমালের দল। ৯৩ রান করে আউট হয়েছেন দিমুথ করুনারত্নে। এ ছাড়া চান্দিমাল ৬০ ও নিরোশান দিকভেল্লা ৪২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।