ওয়ানডেতে লজ্জার হারে শুরু

Looks like you've blocked notifications!

টেস্টে সিরিজের পর ওয়ানডেতেও বাংলাদেশকে বড় লজ্জা উপহার দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিম্বার্লিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টাইগারদের ১০ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথমে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৭৯ রানের বড় লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। সেটা তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কোনোভাবেই দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদের ফেরাতে পারেননি মাশরাফি-সাকিবরা।

২৭৯ রানের লক্ষ্যটাকে একেবারে মামুলি বানিয়ে ফেলেন হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। উদ্বোধনী জুটিতে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় স্কোর। ২০১৫ সালে রিলে রুশো ও আমলা মিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে উদ্বোধনী উইকেটে ২৪৭ রান করেন। এত বড় রান তাড়া করে প্রোটিয়ারা এর আগে কখনই ১০ উইকেটে জিততে পারেনি। ২০০৫ সালে ভারতের বিপক্ষে  ১৮৯ রান তাড়া করে ১০ উইকেটে জয় পায় প্রোটিয়ারা।

কুইন্টন ডি কক ১৬৪ ও হাশিম আমলা ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে  ২৭৯ রানের বড় স্কোর দাঁড় করায় মুশফিকুর রহিম-সাকিব আল হাসানরা। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৭৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। 

আজ প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান লিটন দাস। রাবাদার ইনসুইং বলটা ব্যাটে লেগে স্লিপে দাঁড়ানো ফাফ দু প্লেসিসের হাতে জমা হয়। ২৯ বলে চারটি চারে ২১ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৪৩ রান। দলীয় ৬৭ রানে ইমরুলকে কুইন্টন ডি ককের ক্যাচে পরিণত করেন প্রিটোরিয়াস। ৪৩ বলে ৩১ রান করেন ইমরুল। ভালোই খেলছিলেন এই ব্যাটসম্যান। তবে ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি তিনি।

এরপর সাকিব আল হাসান ২৯ রান করে সাজ ঘরে ফিরে যান। তবে আউট হওয়ার  আগে দারুণ একটি রেকর্ড করেন তিনি। পাঁচ হাজার রান ও ২০০ উইকেট নেওয়া পঞ্চম অলরাউন্ডার হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন এই টাইগার ক্রিকেটার। এই জুটি থেকে আসে ৫৯ রান।

এরপর ভালোই খেলছিলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটি থেকে আসে ৬৯ রান। ভালোই খেলছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে রানের চাকাটা বাড়ানোর চিন্তায় উইকেট বিলিয়ে আসেন তিনি। দলীয় ১৯৫ রানে প্রিটোরিয়াসের বলটাকে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে মিড অফে ডেভিড মিলারের তালুবন্দি হন তিনি। ২৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। 

এরপর ২৩৭ রানে ফিরে যান সাব্বির রহমান। ২১ বলে একটি চার ছয়ে ১৯ রান করেন তিনি। সতীর্থ ফিরলেও মুশফিক ছিলেন ধৈর্যের মূর্তপ্রতীক। ৪৩তম ওভারে ইমরান তাহিরকে চার মেরে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে যান মুশি। এর আগে ২০১৫ সালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৯০ রান করেছিলেন সৌম্য সরকার। আজ সতীর্থকে ছাড়িয়ে গেলেন মুশি। রাবাদার করা ৪৬তম ওভারে তৃতীয় বলে দুই রান নিয়ে শতক পূর্ণ করেন মুশফিকুর রহিম।  ওয়ানডেতে মুশির এটি পঞ্চম শতক।

এরপর নাসির হোসেনকেও হারায় বাংলাদেশ। তবে মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২৭৮ রান তোলে বাংলাদেশ। ১১০ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন ১৬ রান করা সাইফুদ্দিন।