ডি ভিলিয়ার্সই ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে : মাশরাফি

Looks like you've blocked notifications!

গত ম্যাচে নিজের বোলারদের দুষেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এই ম্যাচে দোষটা এবি ডি ভিলিয়ার্সের ওপর চাপালেন টাইগার অধিনায়ক। টাইগার অধিনায়ক জানালেন, এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো ব্যাটসম্যানরা ফর্মে থাকলে কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচটা জিততে চান মাশরাফি।   

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাশরাফি বলেন, ‘৩৫৩ রান অবশ্যই বড় লক্ষ্য তবে আমি মনে করি রান তাড়া করে জেতাটা সম্ভব ছিল।’ মাশরাফি অবশ্য ব্যাটসম্যানদের দোষ দেননি। তিনি বলেন, আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছিল। তবে ইমরান তাহির ইনিংসের মাঝপথে বেশ কয়েকটা উইকেট পেয়ে যায়। সেখানেই ম্যাচ থেকে বের হয়ে যাই আমরা।’

১০৪ বলে ১৭৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচটা একাই জিতিয়ে দিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের প্রশংসার কমতি রাখেননি ম্যাশ। তিনি বলেন, বিস্ফোরক আর দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে এবি। সে একাই ম্যাচের চেহারা বদলে দিয়েছে। আমাদের কোনো সুযোগ দেয়নি সে। তার মতো ব্যাটসম্যান এমন ফর্মে থাকলে বাকিদের আর কিছু করার থাকে না।’

সিরিজের শেষ ম্যাচটাতে হলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা জয় চান মাশরাফি। তিনি বলেন, পরের ম্যাচটায় মনোযোগী হতে হবে আমাদের। ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে হবে।’ 

এবি ডি ভিলিয়ার্সের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সামনে ৩৫৪ রানের কঠিন লক্ষ্য দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠন মাশরাফি। কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলা এ ম্যাচেও স্বাগতিকদের ভালো সূচনা এনে দেন। ৯০ রান যোগ করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ১৮তম ওভারে ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব। একই ওভারে কুইন্টন ডি কক (৪৬) ও অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান তিনি। তবে ডি ভিলিয়ার্সকে ফেরাতে পারেননি টাইগার বোলাররা। ১০৪ বলে ১৫ চার এবং ৭ ছয় মেরে ভিলিয়ার্স থামেন ১৭৬ রানে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৩৫৩ রান।

ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ৪৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েস মিলে ৯৩ রান যোগ করেন। ইমরুল ৬৮ ও মুশি করেন ৬০ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা বলার মতো কিছু করতে না পারায় ২৪৯ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ১০৪ রানে হেরে টেস্টের মতো ওয়ানডে সিরিজটাও প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দিল টাইগাররা।