তিন ফরম্যাটেই অধিনায়ক হচ্ছেন সাকিব?

Looks like you've blocked notifications!

সাকিব আল হাসানের কাঁধে এখন দুটি দায়িত্ব। টি-টোয়েন্টির পর আবার টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ফিরে পেয়েছেন তিনি। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়ক হতে পারেন তিনি। আপাতত ওয়ানডের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাই থাকছেন। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা বিবেচনা করে শিগগিরই ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের হাতে তুলে দেওয়া হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান এ ব্যাপারে বলেন, 'ভবিষ্যতে সাকিব তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হাতে পারে। অবশ্য আমরা এখনই এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আপাতত দুজন অধিনায়ক থাকছেন। মাশরাফিই ওয়ানডের অধিনায়কের দায়িত্বে থাকবেন।'

বোর্ড সভাপতি স্বীকার না করলেও বিষয়টি নিয়ে বিসিবি ভাবছে বলে শোনা যাচ্ছে। তা নিয়ে আলোচনাও চলছে। তবে কবে-কখন এই দায়িত্ব দেওয়া হবে সাকিবের হাতে সেটা সমই বলে দেবে।

সাকিব এর আগে ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি নয়টি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অধীনে মাত্র একটি টেস্টে জিতেছিল বাংলাদেশ, খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আর আটটি টেস্টেই হেরেছিল বাংলাদেশ। 

তবে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সাকিব ছিলেন বেশি সফল। এর আগে ৫০টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ২৩টি ম্যাচে জয় পেয়েছেন এবং হেরেছেন ২৬টিতে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। অবশ্য টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে একেবারেই ব্যর্থ ছিলেন। ছটি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ছটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ।  

এদিকে আজই মুশফিকুর রহিমকে সারিয়ে টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাকিবকে। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মুশফিক। ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি ৩৪টি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অধীনে সাত টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। ৯টি টেস্ট ড্র হয়েছে। আর হেরেছে ১৮টি টেস্ট।

মুশফিকের নেতৃত্বে সবচেয়ে বড় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই সাফল্য। আর শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে হারানো।