বিপিএলেই পূর্ণ হলো গেইলের ১১ হাজার রান
ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সৌরভ গাঙ্গুলী তাঁর ক্যারিয়ারে ৩১১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। ৪১ গড়ে ‘প্রিন্স অব কলকাতা’র রান সংখ্যাটা ১১ হাজারের কিছু বেশি। সেঞ্চুরি করেছেন ২২টি। সেখানে ৩১৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেই ক্রিস গেইলের রানসংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেলে। ৪০ গড়ে সেঞ্চুরি সংখ্যা ২০টি! ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির তুলনা কোনোভাবেই চলে না। তবে গেইলের রান ও সেঞ্চুরির সংখ্যা আপনাকে বিস্মিত করবে যথেষ্ট!
এবারের বিপিএলে খেলতে আসার আগে এনটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে ক্রিস গেইলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ১১ হাজার পূর্ণ করতে তাঁর আর কত রান লাগে? সেদিন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি এই ক্যারিবীয় কিং। হিসাব-নিকাশে অত মনোযোগ নেই তাঁর। শুধু মাঠ মাতানোর দিকেই মনোযোগ ছিল বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের। পঞ্চম আসরে মাঠে নামার আগে ১১ হাজার রান করতে ৪২৯ রান দরকার ছিল গেইলের।
প্রথম দুটি ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি করেন গেইল। পরের কয়েকটি ম্যাচে রান পাননি এই সিক্স মেশিন। গেইলকে সত্যিকার অর্থে খুঁজে পাওয়া যায় এলিমিনেটর ম্যাচে। খুলনার বিপক্ষে ৫১ বলে করেন ১২৬ রান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে পায়ে চোট লাগার কারণে বেশি কিছু করতে পারেননি তিনি। ১০ বলে তিন রান করেন সেদিন।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ফাইনালে আরো চওড়া হয় গেইলের ব্যটি। ১৪৬ রান করেন মাত্র ৬৯ বলে। ১৮ বার বলকে পাঠিয়েছেন গ্যালারিতে। এদিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১১ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম পাঁচ, ছয়, সাত, আট, নয়, ১০ ও ১১ হাজার রানের মালিকও তিনি।
বিপিএল শুরুর আগে ৩০৯ ম্যাচে গেইলের রান ছিল ১০,৫৭১। আগের ১০ ম্যাচে করেন ৩৩৯ রান। ১১ হাজার রান পূর্ণ করতে এই রান মেশিনের দরকার ছিল ১১০ রান। কাইরন পোলার্ডের করা ১৮তম ওভারের শেষ বলে ছয় মেরে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পূর্ণ করেন ১১ হাজার রান।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে গেইলের পেছনে রয়েছেন রংপুর রাইডার্সে তাঁরই সতীর্থ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। আজ হাফ সেঞ্চুরি করেন এই কিউই ব্যাটসম্যানও। ৮৫২৬ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও খেলছেন এবারের বিপিএলে। ঢাকা ডায়নামাইটসের তারকা ব্যাটসম্যান কাইরন পোলার্ডের সংগ্রহ ৭৮১৬।